অভিবাসী মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় বড় বাধা ভাষা
মানসিক সমস্যায় চিকিৎসকের সাথে ভালোভাবে কথা বলা মানসিক রোগ চিকিৎসার সবচেয়ে জরুরি বিষয়৷ এই চিকিৎসায় রোগী ও ডাক্তারের মধ্যে ভাষাগত সমস্যা হলে ফলপ্রসু চিকিৎসা বাধাগ্রস্হ হয়৷
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউট-এর হিসেব
রবার্ট কখ ইন্সটিটিউটের হিসেব অনুয়ায়ী জার্মানিতে প্রতি তিনজনের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক বছরে অন্তত দুবার মানসিক সমস্যায় ভোগেন৷ তবে সবাইকেই যে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হয় তেমন নয়৷
রোগী এবং ডাক্তারের সম্পর্ক
যাঁদের কষ্ট বেশি তাঁদের অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত৷ রোগীর সুস্থ্ হওয়া অনেকটাই নির্ভর করে ডাক্তার এবং রোগীর মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য বিনিময়ে ভাষাগত মিলের ওপর৷
দোভাষী
জার্মান ভাষা খুব কম জানেন বা একেবারেই জানেন না এমন অভিবাসী মানসিক রোগীদের খুবই সমস্যায় পড়তে হয়৷ জার্মান ভাষা জানা পরিবারের কেউ সাথে থাকলেও অনেক সময় সবকিছু ঠিকভাবে বোঝানো সম্ভব হয়না৷
শতকরা ৯০ জন!
গেলজেন কির্শেনের গেজাম্ট স্কুলে শতকরা ৯০ জন ছাত্রছাত্রীই অভিবাসী পরিবার থেকে আসা, যাঁরা এক অক্ষরও জার্মান ভাষা জানেনা৷ বুলগেরিয়া এবং রোমানিয়া থেকে ওদের বাবামায়েরা জার্মানিতে কাজ করতে এসেছেন গত বছর৷ দুটি দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য৷
উন্নত শিক্ষার বিশেষ ক্লাস
এরই মধ্যে গেলজেন কির্শেন স্কুলের বাচ্চাদের জন্য আলাদাভাবে ভাষা শেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ ছাত্রছাত্রীরা যেন তাড়াতাড়ি ভাষা শিখে স্কুলে ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারে সেজন্যই এই উদ্যোগ এবং প্রতিটি ক্লাসে ১৫জন শিক্ষার্থী থাকে-একথা বলেন আখিম এলভার্ট৷
সাহায্য সংস্থা ‘স্প্রিন্ট’
এই শূন্যস্থানগুলো কেবল বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত দোভাষীই পূরণ করতে পারে৷ রোগী এবং ডাক্তারের দেশের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানা থাকে তাঁদের৷ স্প্রিন্ট-এ এ বিষয়ে ১৮মাস প্রশিক্ষন দেওয়া হয়৷স্প্রিন্ট-এর প্রধান হাইকে টিমেন বলেন, ‘সাধারণ রোগের চেয়ে মানসিক রোগ নিরূপন করা অনেক কঠিন৷’
আরো বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রাইনার রিস্টার বলেন, কোলোনের মতো বড় শহর যেখানে ৬০,০০০ জার্মান পাসপোর্টধারী তুর্কির বসবাস, সেখানে মাত্র দুজন তুর্কিভাষী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন, যা মোটেই যথেষ্ট নয়৷