1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনীতিতে চীনের ভেলকি

১৬ জুলাই ২০২০

করোনা হানা দেয়ার পর বিশ্বে একমাত্র চীনের অর্থনীতিই ঘুরে দাঁড়িয়েছে৷ শেষ প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে তিন দশমিক দুই শতাংশ৷

https://p.dw.com/p/3fOks
এক চীনা ব্যবসায়ী তার শার্টের নীচে থাকা পতাকা দেখিয়ে দেশপ্রেম প্রদর্শন করছেন

করোনার আঘাতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি এখন ধুঁকছে৷ কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোদস্তুর সচল হবে তার কোনো ঠিক নেই৷ জিডিপি প্রবৃদ্ধি দূরে থাকুক, দেশগুলো তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে৷ আর সেখানে ভেলকি দেখালো চীন

ডিসেম্বরের শেষ দিকে দেশটিতে প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু৷ এরপর হুবেইসহ বিভিন্ন প্রদেশে কড়া লকডাউন আরোপ করে সরকার৷ ব্যবসা-বাণিজ্য, কারখানাসহ বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড৷ এ কারণে জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে জিডিপি ছয় দশমিক আট শতাংশ কমে গিয়েছিল, যা ১৯৬০-এর দশকের পর সর্বনিম্ন৷

মার্চ থেকে চীনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে শুরু করে৷ এপ্রিলে তুলে নেয়া হয় লকডাউন, খুলে দেয়া হয় শিল্প কারখানাগুলো৷ পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে শেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ, জুন পর্যন্ত তিন মাসে চীনের অর্থনীতি তিন দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে৷ জেপি মর্গান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কর্মকর্তা মার্সেলা চৌ এক প্রতিবেদনে বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করছেন তারা৷ 

অর্থনীতি যে বছরের প্রথমার্ধ থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটি উল্লেখ করেছে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোও৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত দ্রুত কী করে তা সম্ভব হয়েছে?

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অন্য দেশগুলোর তুলনায় চীন ধাক্কাটি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারবে৷ কেননা, করোনা ঠেকাতে তারা অভুতপূর্ব তড়িৎ ব্যবস্থা নিয়েছিল৷ অন্যদের তুলনায় তাই সংক্রমণও কাটিয়ে উঠতে পেরেছে দ্রুত৷ বড় আকারের শিল্প থেকে শুরু করে অন্য খাতগুলোও এখন স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরেছে৷ তবে সমস্যার বিষয় হল চাকরি হারানোর শঙ্কায় মানুষ আর আগের মতো হাত খুলে কেনাকাটা করছেন না৷ আবার সিনেমা, পর্যটনসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে এখনও কড়াকড়ি রয়েছে৷

তারপরও চীন যা দেখিয়েছে তা গোটা বিশ্বের বাঘা বাঘা সব অর্থনীতির জন্যই ইর্ষণীয়৷ পিএনসি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এর বিল এডামস মনে করেন, মহামারি এখন বিজয়ী আর পরাজিত নির্ধারণ করে দিচ্ছে৷ আর চীনের জয়ী হওয়ার পেছনে অবদান রাখছে তার শিল্প উৎপাদন খাত৷

এফএস/এসিবি (এপি)