জার্মানি পদকশূন্য
৩০ জুলাই ২০১২কেন ঘটেছে, তা নিয়ে খেলোয়াড়রা মাথা ঘামাচ্ছে, কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা খুঁজছেন৷ জার্মানির ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলি এরই মধ্যে ‘গেল! গেল!' রব তুলেছে৷ অথচ অলিম্পিকের প্রথমদিনে উইন্ডসরের ডর্নি লেকে জার্মান রোয়িং দলের পুরুষদের কি এক মাল্লা, কি দুই মাল্লা, কি আট মাল্লার বোটগুলোর দাপট দেখে হালের অলিম্পিক মেডেল যাত্রা যে এ'রকম চড়াতে ঠেকবে, তা আন্দাজ করা যায়নি৷
জার্মান গণমাধ্যমের একটা প্রবণতা হল, যে কোনো বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আগে দেশ জুড়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে চড়ানো, এবং সেই প্রত্যাশা চটজলদি সফল না হলে, তা নিয়ে হা-হুতাশ করা৷ ২০১২ সালের অলিম্পিকও তার ব্যতিক্রম নয়৷ তাই জার্মানির সর্বাধিক প্রচারিত ট্যাবলয়েড ‘বিল্ড' শীর্ষক দিয়েছে: ‘‘কাজাখরাও আমাদের দেখে হাসছে৷ সত্যি, যেমন পুরুষ, তেমনি মহিলা বিভাগে, আমরা একেবারে থাড়ক্লাশ৷'' ডের স্পিগেল সাপ্তাহিকের মন্তব্য: ‘‘মেডেলগুলো গেল কোথায়?'' সত্যিই তো৷ বেইজিং অলিম্পিকে পদকের তালিকায় জার্মানি ছিল পঞ্চম: ১৬ বার সোনা, ১০টি রুপো, ১৫ বার তামা৷ মজার কথা, সকলেই ভুলে গেছে যে বেইজিং'এও জার্মানির প্রথম মেডেল এসেছিল তৃতীয় দিনে৷
চীনের রমরমা
সপ্তাহান্তে চীনা অ্যাথলিটদের সাফল্যের পর চীনের মিডিয়া স্বভাবতই খোশমেজাজে৷ বলতে কি, তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে একমাত্র প্রশ্ন হল, চীন এবার তাদের পদকের ভাঁড়ার ২০০৮ সালের থেকেও বাড়াতে পারবে কিনা৷ ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে চীন সোনা জেতে ৫১ বার৷ ২০১২'র অলিম্পিকের প্রথম সোনা জিতেছে চীন৷ শনিবার চারবার সোনা জেতার পর রবিবারে আরো দু'বার৷ প্রতিযোগিতার প্রথম দু'দিনে চীন আর জার্মানির ট্যালি হল: চীন পেয়েছে ছ'বার সোনা, চারবার রুপো, দু'বার তামা৷ জার্মানি শূন্য-শূন্য-শূন্য৷
বিশেষ করে সাঁতারে স্প্রিংবোর্ড থেকে ডাইভিং'এ চীনের ‘‘ড্রিম টিম'' এবার আটটির মধ্যে আটটিই সোনা জেতার তাল করছে, যা অন্য কোনো দেশ এ যাবৎ অলিম্পিকে করতে পারেনি৷ শুটিং'এও চীনের আধিপত্য এবার দেখবার মতো৷ কিন্তু তা বলে চীনের যে একেবারে কোনো চিন্তা নেই, এমন নয়৷ যে ব্যাডমিন্টন এবং ভারোত্তলনে চীনারা চিরকাল দড়, সেখানেই হোঁচট খেয়েছে তারা৷ যেমন রবিবার মহিলাদের ৫৩ কিলোর নীচে প্রতিযোগিতায় চীনের হয়ে নামে ১৭ বছর বয়সী ঝু জুন: এবং স্ন্যাচে তিনবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর বিদায় নেয়৷
চীনের পিপলস ডেলি লিখেছে, অধিকতর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ভারোত্তোলকদের স্থলে ঝু'কে দলে নেওয়াটা দল নির্বাচন পদ্ধতিতে নানা গভীর সমস্যার প্রতিফলন৷ আত্মদর্শন এবং আত্মসমালোচনা যে শুধু জার্মানদেরই পেটোয়া নয়, এটা যেন তারই প্রমাণ৷
এসি / ডিজি (ডিপিএ, এপি, এএফপি)