অস্ট্রেলিয়া সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের পর মাস্কের সঙ্গে বিরোধ
১ ডিসেম্বর ২০২৪অস্ট্রেলিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নতুন আইনের সমালোচনা করে এক্সের মালিক ইলন মাস্ক গত মাসে জানান যে, এটা ইন্টারনেট এক্সেস নিয়ন্ত্রণের এক ‘ব্যাকডোর' উপায়৷ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি আলবেনিজ এক সমালোচনার জবাব রোববার জানান নিজের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন মাস্ক৷
অস্ট্রেলিয়ার নতুন আইনে ১৬ বছরের কম বয়সিদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এক্ষেত্রে কোনো রকম ব্যতিক্রমের সুযোগ রাখা হয়নি৷ অর্থাৎ অভিভাবকরা অনুমতি দিলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বা যে একাউন্টগুলো ইতোমধ্যে চালু আছে সেগুলোকে এগিয়ে নেয়ার সুযোগও রাখা হয়নি৷ এই আইন কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর দায়িত্ব স্পষ্ট করা হয়েছে৷
আগামী ১২ মাসের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পর ফেসবুক, টিকটক, ইন্সটাগ্রাম এবং এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর উপর তার প্রভাব পড়বে৷
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে আলবেনিজ জানিয়েছেন যে তার সরকার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাস্কের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা যে-কারো সঙ্গেই কথা বলবো৷''
আলবেনিজ বলেন, ‘‘ইলন মাস্কের প্রসঙ্গে বলতে চাই, তার নিজের এজেন্ডা রয়েছে৷ তিনি আগে টুইটার হিসেবে পরিচিত এক্সের মালিক হিসেবে তা সামনে আনতে চাইতে পারেন৷''
প্রশ্নকর্তা যখন যোগ করেন যে মাস্ক দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার অপেক্ষায় থাকা ডনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ, তখন আলবেনিজ বলেন, ‘‘আমরা যুক্ত হবো, আমরা যুক্ত হবো৷''
ডনাল্ড ট্রাম্প সরকারের ‘এফিশিয়েন্সি চিফ' হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাস্ক৷ অস্ট্রেলিয়ায় অল্পবয়সিদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে গতমাসে তিনি এক্সে লিখেছেন, ‘‘এটিকে সকল অস্ট্রেলীয়র ইন্টারনেটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের এক ‘ব্যাকডোর' উপায় মনে হচ্ছে৷''
এআই/আরআর (এএফপি, রয়টার্স)