অ্যামেরিকায় টর্নেডো, অন্তত ৯৪ জনের মৃত্যু
১৩ ডিসেম্বর ২০২১শুক্রবার একাধিক টর্নেডো আছড়ে পড়েছিল অ্যামেরিকার একাধিক রাজ্যে। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেনটাকি। রোববার কেনটাকির মেয়র টুইট করে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন। বাইডেন সরকারের কাছে তার আর্জি, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কেনটাকির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'অনেকে ভাবছেন, দরজায় দরজায় ঘুরে মানুষ কেমন আছে, তা দেখছি। কিন্তু বাস্তব হলো অধিকাংশ বাড়িতে দরজাই নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে।'
মেয়র জানিয়েছেন, কেবল তার রাজ্যেই টর্নেডোর প্রকোপে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ। বস্তুত, একটি মোমবাতি তৈরির কারখানায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই কারখানারই আরো বেশ কিছু কর্মী এখনো নিখোঁজ। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, সকলের মৃত্যু হয়নি। ঝড় শুরু হওয়ার আগে তাদের কয়েকজন কারখানা থেকে পালিয়ে টর্নেডো শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। কেনটাকির মেয়রের মতে এখনো পর্যন্ত সবকটি রাজ্য মিলিয়ে অন্তত ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় মানুষ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঝড় শুরু হওয়ার ২০ মিনিট আগে মোবাইলে টর্নেডো অ্যালার্ট এসেছিল। কিছু না গুছিয়েই সকলকে বের হতে হয়েছিল। ফিরে এসে দেখা যায়, বাড়ির প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। অধিকাংশ বাড়ির দরজা, জানলা ভেঙে গেছে। মেয়রের বক্তব্য, সময় মতো অ্যালার্ট না এলে আরো বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারতো।
ঘটনার পর রোববার অ্যামেরিকার বহু রাজ্য শোকদিবস পালন করেছে। তবে মেয়র জানিয়েছেন, এটা শোকপ্রকাশের সময় নয়, দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে ফলেতে হবে। নিখোঁজদের খুঁজে বার করতে হবে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)