ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
২৯ জুন ২০১৭মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠিক যেমনটা চেয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট তা পুরোপুরি মেনে নেয়নি, তাঁর নির্বাহী আদেশের অংশবিশেষ কার্যকর করতে সম্মতি দিয়েছে মাত্র৷ সিরিয়া, সুদান, ইরান, সোমালিয়া, লিবিয়া ও ইয়েমেন – ঢালাওভাবে এই ৬টি দেশের সব নাগরিকের অ্যামেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে আদালত৷ রায়ে বলা হয়েছে, এই দেশগুলির যেসব নাগরিকের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বৈধ সম্পর্ক রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে না৷ অর্থাৎ শুধু আত্মীয়স্বজন থাকার প্রয়োজন নেই, মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কর্মী অথবা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী হিসেবেও এই ৬টি দেশের নাগরিক অ্যামেরিকায় প্রবেশ করতে পারবেন৷ তবে শুধু অ্যামেরিকায় প্রবেশের উদ্দেশ্যে এমন সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালালে চলবে না৷
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়মের ব্যতিক্রম স্থির করে দিলেও অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে৷ ফলে বাস্তবে সেই নিয়ম কীভাবে প্রয়োগ হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ যেমন অ্যামেরিকায় আত্মীয়স্বজন থাকলে সে দেশে প্রবেশে বাধা না থাকলেও ঠিক কত দূর সম্পর্কের আত্মীয় থাকলে চলবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি৷ অথবা যারা এই নির্বাহী আদেশ জারির আগেই বিশ্ববিদ্যালয় অথবা চাকুরির আবেদন করেছেন, তাদের অধিকারও স্পষ্ট নয়৷
ট্রাম্প অবশ্য এই রায়কে নিজের জয় বলেই তুলে ধরছেন৷ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পরেই তিনি তাঁর নির্বাহী আদেশ কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তবে মার্কিন প্রশাসনের মধ্যেও বিভ্রান্তি থেকে গেছে৷ পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় বিচার মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ চেয়েছে, যাতে মার্কিন দূতাবাস ও বিমানবন্দর সহ অন্যান্য সীমান্ত-পোস্টে এ বিষয়ে বিভ্রান্তি এড়ানো যায়৷ অভিবাসনে সহায়তা করেন, এমন অনেক আইনজীবী বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনে যাত্রীদের সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন৷
উল্লেখ্য, ৬টি দেশের নাগরিকের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৯০ দিন৷ অন্যদিকে শরণার্থীদের প্রবেশের উপর ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞাও কার্যকর হয়েছে৷
এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)