1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকায় ধৃত তিন চীনা সেনা-গবেষক

২৪ জুলাই ২০২০

ভিসা জালিয়াতি ও চরবৃত্তির অভিযোগে তিনজন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করল অ্যামেরিকা। তাঁরা চীনা সেনার সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তা গোপন করেই ভিসা নিয়েছিলেন।

https://p.dw.com/p/3fqZS
ছবি: Getty Images/AFP/G. Chai Hin

অভিযুক্ত চারজন। তার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন পালিয়ে সান ফ্রান্সিসকোর কনসুলেট অফিসে লুকিয়ে আছেন। তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই এর অভিযোগ, চারজনই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ভিসার আবেদনে সে কথা তাঁরা গোপন করে গিয়েছিলেন। অ্যামেরিকায় সেনার সঙ্গে যুক্ত বৈজ্ঞানিকদের পাঠানোর পরিকল্পনা ছকেছে চীন। তারই অঙ্গ হিসাবে তাঁরা অ্যামেরিকায় এসেছিলেন।

সরকারি অ্যাটর্নি জন সি ডিমার্স সংবাদ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা তাঁদের পরিচয় গোপন করে রিসার্চ ভিসার জন্য আবেদন করেছিল। এটা চীনের কৌশল।

চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের দাবি, অ্যামেরিকা তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। তাদের আইনগত অধিকার রক্ষায় চীন সক্রিয় হবে এবং উপযুক্ত জবাব দেবে।

একদিন আগেই হিউস্টনের চীনা কনসুলেট তিনদিনের মধ্যে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যামেরিকা। সেখানেও অভিযোগ ছিল, ওই কূটনৈতিক অফিস থেকে চরবৃত্তি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এফবিআই তিনজন চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করার পর মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেছেন, চীন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাইছে। সব দেশের সব নেতার কাছে তাঁর আবেদন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির থেকে নিরাপদ দূরত্ব তৈরি করাই এই সময়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত। 

যে চারজন চীনা নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা হলেন, ওয়াং শি, সং চেন, ঝাও কাইকাই এহং ট্যাং জুয়ান। এর মধ্যে ট্যাং সান ফ্রান্সিসকোর কনসুলেট অফিসে আছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁরা প্রত্যেকেই মিথ্যা কথা বলেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা কখনওই সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

এর মধ্যে ওয়াং শিনকে লস এঞ্জেলেস বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়। কাস্টমস ও বর্ডার প্রটেকশন এজেন্টের কাছে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি মিলিটারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে কাজ করেন। অথচ, ভিসার আবেদনপত্রে তিনি লিখেছিলেন, ২০১৬ সালে তিনি সেনার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে দিয়েছেন। সং চেন ও ঝাওকে গত ১৮ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরাও সেনা হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ভিসার আবেদনে সে তথ্য দেননি। অভিযুক্তরা সকলেই চীনা সেনার চিকিৎসক শাখার সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁরা প্রত্যেকেই শীর্ষ গবেষণা সংস্থার সদস্য। ট্যাং বিমানবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত এবং পুরো ইউনিফর্মে তাঁর ছবিও আছে। কিন্তু তিনি ভিসায় লিখেছিলেন, তিনি কখনই সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। 

এফবিআই এখন ২৫টি শহরে চীনা নাগরিকদের জেরা করছে। তাঁরা সকলেই চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ।

জিএইচ/এসজি(এপি, ডিপিএ)