আইএস দমনে ঐক্য
২৭ নভেম্বর ২০১৫
মস্কো সফরে গিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ৷ মস্কোয় এক বৈঠক শেষে ওলঁদ এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন, আইএএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও সামরিক অভিযানের বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতায় সম্মত হওয়ায় ফ্রান্স-রাশিয়া সম্পর্কে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে৷
ওলঁদ মস্কো সফরে গিয়ে আইএস-এর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে রাশিয়াকে সক্রিয় সহযোগী হিসেবে পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছেন৷ তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর বিরুদ্ধে রাশিয়া অবশ্য আগে থেকেই সক্রিয়৷ প্যারিস হামলার পর থেকে আইএস-এর ওপর বিমান হামলা প্যারিসের মতো তারাও জোরদার করেছে৷ তবে ফ্রান্স আর রাশিয়ার মূল লক্ষ্য আইএস-কে পরাস্ত করা হলেও, যুদ্ধটা তারা আলাদাভাবেই করছিল৷
বৃহস্পতিবার মস্কোয় অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে জানানো হয়, আইএস-এর বিরুদ্ধে রাশিয়া এবং ফ্রান্স গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে৷ বিমান হামলায়ও দুই দেশ পরস্পরের পাশে থাকবে৷
ওলঁদ বলেন, ‘‘এই বিষয়ে একমত হয়েছি যে, আমরা শুধু সন্ত্রাসী, বিশেষ করে দায়েশ (আইএস)-কে আঘাত করবো, এমন কাউকে আঘাত করবো না যারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়ছে৷ কাকে আঘাত করতে হবে এবং কাকে নয় – এ বিষয়েও আমরা তথ্য আদানপ্রদান করবো৷’’
তবে আইএস-এর বিষয়ে সহমত হলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদের বিষয়ে দু দেশের মতবিরোধ রয়েই গেছে৷ পুটিন জানিয়েছেন, তিনি এখনো মনে করেন, বাশার প্রেসিডেন্ট থাকবেন কিনা এটা শুধু সিরিয়ার জনগণেরই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত৷ অন্যদিকে ওলঁদের মতে, সিরিয়ার ভবিষ্যতে বাশারের কোনো স্থান নেই৷
এদিকে শুক্রবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লোরঁ ফাবিয়ুস বলেছেন, আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশারের অনুগত বাহিনীও ফ্রান্সের সহযোগী হয়ে এলে তাতে আপত্তির কিছু নেই৷ তবে তার আগে বাশারকে দূরে রাখার বিষয়ে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হতে হবে৷
প্যারিসে আবার ফিরে আসছে শোকের ছায়া৷ গত ১৩ই নভেম্বর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১৩০ জনকে হত্যা করে তথাকথিত আইএস জঙ্গিরা৷ ফ্রঁসোয়া ওলঁদ তারপর ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেই সিরিয়ায় আইএস-বিরাধী হামলা জোরদার করেছিলেন৷ যুদ্ধের পাশাপাশি শুক্রবার প্যারিস হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে ফ্রান্স৷
এসিবি/এসবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)