আজারবাইজানের ড্রোন ধ্বংস করল আর্মেনিয়া
২ অক্টোবর ২০২০আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ গোটা বিশ্ব যুদ্ধ বন্ধের আবেদন করলেও প্রতিদিন পরিস্থিতি আরও কঠিন হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার সরকার বিবৃতি জারি করে বলেছে, রাজধানীর অদূরে চারটি ড্রোন নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ওই ড্রোনে আজারবাইজান বোমা পাঠিয়েছিল বলে তাদের অভিযোগ।
ককেশাস পর্বতে বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে গত রোববার থেকে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুই দেশই সীমান্তের দুই পার থেকে যথেষ্ট গোলাগুলি চালাচ্ছে। নাগর্নো-কারাবাখেও ঢুকে পড়েছে দুই দেশের সৈন্য। চলছে তুমুল লড়াই। বেসরকারি সূত্র জানাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত অসংখ্য। তার মধ্যে দুইজন ফরাসি সাংবাদিক আছেন।
মঙ্গলবার থেকে আর্মেনিয়া অভিযোগ করতে শুরু করেছে, তুরস্ক আজারবাইজানকে সাহায্য করছে এবং যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার তুরস্ক আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধ বিমান ধ্বংস করেছিল বলে অভিযোগ। বুধবার তুরস্কের যুদ্ধবিমান আর্মেনিয়ার আকাশে ঢুকে পড়েছিল বিপজ্জনক ভাবে। আর বৃহস্পতিবার আর্মেনিয়ার রাজধানীর খুব কাছে পৌঁছে গেল আজারবাইজানের চারটি ড্রোন। আর্মেনিয়া জানিয়েছে, প্রতিটি ড্রোনকেই অ্যান্টি এয়ারক্রাফট মিসাইল দিয়ে মাটিতে নামানো হয়েছে। অভিযোগ, আজারবাইজান ড্রোন ব্যবহার করে রাজধানীতে বোমা মারার চেষ্টা করছিল।
ড্রোনের বিষয়ে আজারবাইজান এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। আর্মেনিয়ার বক্তব্য, যুদ্ধে আজারবাইজানকে সবরকম সাহায্য করছে তুরস্ক। যুদ্ধবিমান দিয়ে তারা সাহায্য করছে। এ ছাড়াও সিরিয়ার বহু যোদ্ধাকে বিতর্কিত অঞ্চলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্ক অবশ্য এই সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ফের তারা জানিয়েছে, প্রয়োজনে আজারবাইজানকে সব রকম সাহায্য করা হবে।
এ দিকে জার্মানি সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে। ফ্রান্স, অ্যামেরিকা এবং রাশিয়া একটি যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশকে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনার টেবিলে আসার আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ একই আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু যুযুধান দুইপক্ষ কোনও আবেদনেই সাড়া দেয়নি। আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনিয়া বিতর্কিত অঞ্চল থেকে না সরলে যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্নই ওঠে না। আর্মেনিয়াও আজারবাইজানকে যোগ্য জবাব দেওয়ার কথা বলেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)