‘আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করতে হবে’
৯ নভেম্বর ২০১৮মির্জা ফখরুল বলেন, সব দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা না হলে তফসিল বা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না৷ ‘‘আমাদের কথা খুব স্পষ্ট৷ নির্বাচনের সমান মাঠ তৈরি করতে হবে, সকল দলকে সমান অধিকার দিতে হবে৷ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তাঁকে কাজ করতে দিতে হবে৷ অন্যথায় কোনো নির্বাচন, নির্বাচনের তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না,’’ বলেন তিনি৷
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে ‘স্বৈরাচারি সরকার’ আটকে রেখেছে৷
তিনি বলেন, প্রধান দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার আগেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে৷ ‘তড়িঘড়ি’ করে তফসিল ঘোষণার এই প্রক্রিয়া ‘গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে' বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল৷
রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দানে সমাবেশ শুরুর মাত্র ১৪ ঘণ্টা আগে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি পায় ঐক্যফ্রন্ট৷
এদিকে, সমাবেশ যেন সফল না হয় সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির কর্মীদের বাধা দেয়া এবং বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন রাজশাহী বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল৷
তবে এরপরও নেতা-কর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত হওয়ায় তাঁদের ধন্যবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব৷ তিনি বলেন, ‘‘শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন৷ পথে পথে বাধা অতিক্রম করে আপনারা গণতন্ত্রের জন্য এসেছেন৷ এখন সংকট আরো কঠিন, আরো ভয়াবহ৷ আজকে প্রশ্ন, গণতন্ত্র থাকবে কি, থাকবে না৷ আমাদের কথা বলার অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে কিনা, তা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷’’
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলছে, অসুস্থতার কারণে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন সমাবেশে অংশ নিতে না পারলেও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনসভায় তাঁর বক্তব্য শোনানো হয়৷
ড. কামালের দল গণফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে আছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না৷
জেডএইচ/এসিবি (সময় টেলিভিশন, বিডিনিউজ)