আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন ৯৫ শতাংশ কমেছে
৬ নভেম্বর ২০২৩২০২২ সালের এপ্রিলে আফগানিস্তানে আফিম চাষের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তালেবান। আফগানিস্তানই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী। এখান থেকেই ইউরোপে ও এশিায়ায় হেরোইন যেত।
রিপোর্টে কী বলা হয়েছে?
জাতিসংঘের অফিস অফ ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম(ইউএনওডিসি) এই রিপোর্টটি তৈরি করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফিম চাষ ৯৫ শতাংশের বেশি কম হয়েছে। গত বছর দুই লাখ ৩৩ হাজার হেক্টরে আফিম চাষ হয়েছিল। এবার হয়েছে, ১০ হাজার আটশ হেক্টরে।
গতবছর আফিম উৎপাদন হয়েছিল ছয় হাজার দুইশ টন, এবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩৩ টন। এই বছর যে চাষ হয়েছে, তার থেকে ২৪ থেকে ৩৮ টন হেরোইন রপ্তানি করা যাবে। ২০২২ সালে রপ্তানি করা হয়েছিল ৩৫০ থেকে ৫৮০ টন। গত বছর আফিম চাষ করে কৃষকদের রোজগার হয়েছিল ১৩৬ কোটি ডলার। এবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ডলারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা আফিম চাষ করত, তারা যাতে অস্ত্র পাচার বা অন্য কোনো বেআইনি কাজ না করে, তার দিকে নজর রাখা উচিত।
ইউএনওডিসি-র এক্সিডিউটিভ ডিরেক্টর ঘাডা ওয়ালি বলেছেন, ''আজ আফগানিস্তানের মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণ খুবই জরুরি। ধান ও তুলো চাযের জন্য প্রচুর জল দরকার হয়। আর আফগানিস্তানে পরপর তিন বছর খরা হয়েছে। তাই মানুষকে বাঁচাতে সেখানে বিনিয়োগ দরকার। তাহলেই আফগানদের আফিম চাষ থেকে সরিয়ে আনা যাবে।''
কিন্তু তালেবানক্ষমতায় আসার পর সেখানে আন্তর্জাতিক ত্রাণ প্রায় যাচ্ছে না বললেই হয়। মেয়েদের অধিকারের নিয়ে চিন্তিত দেশগুলি আফগানিস্তানকে ত্রাণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফফি, রয়টার্স, ডিপিএ)