আফগানিস্তানে জার্মানির ভূমিকা কী?
২০ মার্চ ২০১৯২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক সশস্ত্রবাহিনী যখন আফগানিস্তানে প্রবেশ করে এবং তালিবানদের ক্ষমতাচ্যুত করে, তখন থেকেই দেশটির অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে কাজ করছে জার্মানি৷ এখন পর্যন্ত বন শহরে আফগানিস্তান নিয়ে দু'টি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ দু'টোতেই তালিবান প্রতিনিধিদের হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মানি৷
এখন যখন দেশটিতে শান্তি আলোচনা এগোচ্ছে তখন আরেকটি সম্মেলন করার উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানি, যেখানে আশা করা হচ্ছে যে, এবার অন্তত তালিবান প্রতিনিধি থাকবেন৷
এখন পর্যন্ত মার্কিনিদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনায় অংশ নিয়েছে তালিবানরা৷ কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি৷ সবশেষ গত ১১ মার্চে ১৬ দিনের আলোচনা শেষে তালিবান ও মার্কিন প্রতিনিধিরা ঘোষণা দেন যে, সেনা প্রত্যাহার ও সহিংসতা বন্ধের বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে৷
সম্প্রতি ন্যাটোর আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ, পরামর্শ ও অন্যান্য সহযোগিতা দেবার বিষয়ে জার্মানি বড় ভূমিকা পালন করেছে৷ মাজার-ই-শরীফে আন্তর্জাতিক সেনাদলগুলোর মধ্যে জার্মানিরটি আকারের দিক থেকে দ্বিতীয়৷ প্রায় ১২০০ সৈন্য আছে এ দলটিতে৷
জার্মান কর্মকর্তারা অবশ্য মনে করেন, এত দ্রুত আফগান সমস্যা সমাধান হবার নয়৷
‘‘এখনও শুধু প্রাথমিক আলোচনাই চলছে৷ আসল শান্তি আলোচনা তালিবান ও আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের মধ্যে হবে,'' আফগানিস্তানে জার্মানির সাবেক রাষ্ট্রদূত মার্কুজ পোটসেল বলেন৷
মার্কিনিরা সেনা প্রত্যাহার করতে চাইছে অথবা সেনা সংখ্যা একেবারে কমিয়ে আনতে চাইছে৷ আফগান সরকার ও অনেক পশ্চিমা দেশ মনে করে যে, এতে তালিবানদের সঙ্গে তড়িঘড়ি করে একটি শান্তি চুক্তির পথ তৈরি হচ্ছে৷
ওয়াশিংটনভিত্তিক উড্রো উইলসন সেন্টার ফর স্কলারসের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলমান বলেন, ‘‘যদি যুক্তরাষ্ট্র সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় এবং তাদের দেখাদেখি অন্যরাও করে, তাহলে জার্মানিকেও করতে হবে৷''
মাসুদ সাইফুল্লাহ/জেডএ
২০১৭ সালের ছবিঘরটি দেখুন: