আফগানিস্তানে প্রসূতিসদনেও জঙ্গি হানা
১৩ মে ২০২০আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ আবার শুরু করা হবে। তালিবান সহ অন্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির আক্রমণ থেকে সাধারণ লোককে বাঁচাতে নিরাপত্তা বাহিনীকে পাল্টা আঘাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার একের পর এক ভয়াবহ জঙ্গি হানায় কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। কাবুলেতিনজন সশস্ত্র জঙ্গি একটি প্রসূতি সদনে ঢুকে গুলি চালাতে থাকে। তাতে ১৬ জন মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে দুইটি নবজাতক এবং তাঁদের মায়েরা আছেন। ওই বাড়ির মধ্যে থেকে জঙ্গিরা আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে বাড়ি থেকে একশ জনকে উদ্ধার করে এবং তারপর জঙ্গিদের মোকাবিলা করে। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটা মানবতার বিরুদ্ধে আক্রমণ।
দ্বিতীয় ঘটনা ঘটেছে পূর্ব আফগানিস্তানে। সেটাও একজন মিলিশিয়া কমান্ডারের অন্ত্যেষ্টির সময়। কুজ কুনার জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইএসআইএল(আইএসআইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। অন্ত্যেষ্টি যখন মাঝপথে তখন এই হামলা হয়। সেখানে প্রচুর রাজনীতিক, প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিলের সদস্য, নিরাপত্তা বাহিনীর অফিসার, পরিবারের লোক ও সাধারণ মানুষ ছিলেন।
পাকিস্তান সীমান্তের কাছে নানগরহার দীর্ঘদিন ধরে আইএসআইএল এবং তালিবানদের শক্ত ঘাঁটি ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে এখানে এলাকা দখল নিয়ে প্রবল সংঘর্ষ হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাহিনী ও তালিবান দুই পক্ষই আলাদাভাবে আইএসআইএল-কে আক্রমণ করেছে এবং তাদের হঠিয়ে দিয়েছে। তবে তাদের শক্তি যে এখনও যথেষ্ট, এই বিস্ফোরণই তার প্রমাণ। এ ছাড়া পশ্চিম আফগানিস্তানে মর্টার আক্রমণে দুইটি বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘদিনের সংঘাত শেষ করার জন্য আফগান সরকার ও তালিবানের মধ্যে এখন আলোচনা চলছে, সেই সময় এই আক্রমণ হলো। শান্তি ফেরানোর প্রাথমিক পর্যায় নিয়ে অ্যামেরিকা ও তালিবান একমত হয়েছে। তবে জঙ্গিদের এই আক্রমণের ফলে শান্তিপ্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আফগানিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা পরামর্শদাতা হামদুল্লাহ মোহিব বলেছেন, ''এই আক্রমণের ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে, তালিবান ও তাদের মদতদাতারা শান্তি চায় না। এই যুক্তিহীন হিংসা বন্ধ করার জন্য শান্তি দরকার। কিন্তু যা হচ্ছে, তা শান্তি নয়।।''
জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, রয়টার্স)