1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান ন্যাটোর কাছ থেকে পূর্ণ দায়িত্ব নিল

২ জানুয়ারি ২০১৫

বিদেশি সৈন্যরা ১৩ বছর অবস্থানের পর আফগানিস্তান ত্যাগ করছে; নিরাপত্তার দায়িত্ব নিচ্ছেন আফগান সরকার ও সেনাবাহিনী৷ দায়িত্ব হস্তান্তরের ঠিক আগে দেশের দক্ষিণে একটি মর্টার আক্রমণে ২০ জন বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1EE8A
Afghanistan Ashraf Ghani1. Jan. 2015
ছবি: Shah Marai/AFP/Getty Images

আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সরকারিভাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের আয়োজন করেছিলেন গত বৃহস্পতিবার, কাবুলে, রাষ্ট্রপ্রধানের প্রাসাদে৷ সেই অনুষ্ঠানে গনি বলেন: ‘‘আফগান সেনাবাহিনী যে এখন তাদের দেশের রাজ্যাঞ্চল ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত দায়িত্ব পুরোপুরি নিতে সক্ষম, সেজন্য আমি আমার দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাতে চাই৷''

‘‘এই অঞ্চল এবং বহির্বিশ্বের নানা সমস্যার ফলে গত ১৩ বছর ধরে নিরাপত্তা ছিল একটি যৌথ দায়িত্ব৷ এখন সেটা শুধু আফগানদের৷ কিন্তু আমরা একা নই, আমাদের মিত্র আছে, আমরা আগের মতোই একসঙ্গে কাজ করব'', বলেন গনি৷

বর্ষশেষে সরকারিভাবে আফগানিস্তানে ন্যাটোর ‘কমব্যাট অপারেশন', অর্থাৎ যুদ্ধাভিযান সমাপ্ত হয়েছে৷ এর অর্থ, সাড়ে তিন লাখ আফগান সৈন্য এখন তালেবান বিদ্রোহ সামাল দেবার দায়িত্বে থাকবে, যে বিদ্রোহ ক্রমেই আরো সংগঠিতভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে৷

Afghanistan Zeremonie Ende NATO Mission ISAF Campbell 28.12.2014
আফগানিস্তানে জার্মান সৈন্যদের মিশন শেষছবি: Shah Marai/AFP/Getty Images

এর পরও দেশে প্রায় ১৩ হাজার বিদেশি সৈন্য নিযুক্ত থাকবে – তাদের অধিকাংশই মার্কিনি – এবং তারা আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেবে৷ নতুন এই অভিযানের নাম হবে ‘রেজোলিউট সাপোর্ট' বা ‘দৃঢ় সমর্থন'৷

বিবাহবাসরে রকেট

একদিকে দায়িত্ব হস্তান্তর, অথচ ঠিক তার আগের দিনই একটি ঘটনা ঘটেছে, আফগান পুলিশ যার তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত: দৃশ্যত একটি বিবাহবাসরে সেনাবাহিনীর একটি রকেট এসে পড়ে অন্তত বিশজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরো অনেকে আহত হয়েছেন৷

দক্ষিণের হেলমন্দ প্রদেশের সাঙ্গিন জেলায় তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষ চলাকালীন ঘটনাটি ঘটে, বলে প্রকাশ৷ সাঙ্গিন তালেবান জঙ্গিদের একটি ঘাঁটি এবং ছ'মাস আগে মার্কিন সৈন্যরা এই এলাকা থেকে সরে যাওয়া যাবৎ এখানে বারংবার তীব্র যুদ্ধের অবতারণা ঘটেছে৷

‘‘আমরা এ পর্যন্ত যা জনি, তা হলো এই যে, আমাদের সৈন্যরা তিনটি ‘আউটপোস্ট' থেকে মর্টারের গোলা ছুঁড়েছে, কিন্তু আঘাতটা ইচ্ছাকৃত কিনা, তা আমরা জানি না,'' রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন জেনারেল মাহমুদ, যিনি হেলমন্দ প্রদেশে নিযুক্ত আফগান ২১৫ কোর-এর ডেপুটি কমান্ডার৷ তবে তিনি তদন্ত এবং অপরাধীদের শাস্তি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন৷

ন্যাটো সৈন্যদের পশ্চাদপসারণের পর আফগানিস্তান জুড়ে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তা বেড়েছে৷ জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত ২০১৪ সালে আফগানিস্তানে নিহত বেসামরিক ব্যক্তিদের সংখ্যা হলো ৩,১৮০, আহত প্রায় ৬,৪৩০ – যার অর্থ, ২০১৪ ছিল বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে সর্বাপেক্ষা মারাত্মক একটি বছর৷ এদের অধিকাংশই প্রাণ হারিয়েছেন তালেবান আক্রমণে অথবা আফগান সেনাবাহিনী এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালীন৷

এনএম/এসি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান