আফ্রিকা কাপ
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৩সুপার ইগলদের আটকে দিতে চেষ্টা অবশ্য কম করবে না স্ট্যালিয়নরা৷ তবে পরিসংখ্যান তথ্য উপাত্ত এগিয়ে রাখছে ইগলদের৷ সোয়েটোর ফুটবল মাঠের দর্শক ধারণক্ষমতা ৮৫ হাজার৷ এই বিশাল দর্শক সারির একটি বড় অংশ আবার থাকবে সবুজ-সাদাদের দখলে৷ কেননা দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস করছে কয়েক হাজার নাইজেরীয়৷
এর আগে ১৯৮০ সালে ঘরের মাঠে আয়োজিত আফ্রিকান কাপের শিরোপা জয় করেছিল নাইজেরিয়া৷ এরপর ১৯৯৪ সালে টিউনিশিয়াতেও শিরোপা জয় করে সুপার ইগলরা৷ অন্যদিকে, বুর্কিনা ফাসোদের সর্বোচ্চ সাফল্য হচ্ছে সেমিফাইনাল অবধি পৌঁছানো৷ ১৯৯৮ সালে আয়োজক হিসেবে এই সাফল্য তাদের৷
অবশ্য এই দুই দল যে এবারের ফাইনাল খেলবে, সেটা খুব কম মানুষই প্রত্যাশা করেছিল৷ বরং আফ্রিকান কাপ শুরুর আগেই শিরোপাটা অনেকে দিয়ে দিচ্ছিলেন আইভরি কোস্টকে৷ পাশাপাশি চারবার শিরোপা জয়ী ঘানা, আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা আর তরুণ, মেধাবী আলজিরিয়াও ছিল প্রত্যাশিত বিজয়ীদের তালিকায়৷ আশ্চর্যের কথা হচ্ছে, এরা কেউই ফাইনাল অবধি পৌঁছাতে পারেনি৷
নাইজেরিয়ার কোচ স্টেফেন খাসির সামনে আরো একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷ সেটি হচ্ছে খেলোয়াড় হিসেবে আফ্রিকান সোনা জয়ের পর এবার কোচ হিসেবেও সোনা জয়৷ সেই জয়ের খুব কাছাকাছি এসেও সতর্ক তিনি৷ তাঁর কথা হচ্ছে, ফাইনাল অবধি পৌঁছানোটা বড় কথা নয়৷ বরং ফাইনালে জয়টাই আসল৷ এখানেই প্রমাণ করতে হবে, আমরা আফ্রিকার সেরা দল৷ আর এই কাজটা সহজ নয়৷
এদিকে, নাইজেরিয়া আফ্রিকা কাপ মাতালেও সেদেশে এই খেলা দেখার সুযোগ এখনও তৈরি হয়নি৷ এক দশক পর এই বড় সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে জাতীয় দল, অথচ নাইজেরিয়ার কোনো টিভি চ্যানেলেরই এই খেলা সম্প্রচারের অনুমতি নেই৷
আসলে সর্বশেষ বিশ্বকাপ এবং পরবর্তী কিছু খেলায় নাইজেরিয়ার দুর্বল ক্রীড়ানৈপুণ্যের কারণে এক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী ছিল না তেমন কেউ৷ এখন নাটকীয়ভাবে দল ভালো খেললেও শেষ মুহূর্তে টিভি স্বত্ব পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না৷ এই নিয়ে ক্ষুব্ধ নাইজেরিয়ার টিভি ভক্তরা৷ এখন দেখা যাক, শেষ মুহূর্তের শেষ মুহূর্তে কোনো ব্যবস্থা করতে পারে কিনা সেদেশের সরকার৷
এআই/এসিবি (এএফপি, এপি)