1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২২ এপ্রিল ২০১৩

জাতীয় সংসদের স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগ বলেছে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য বলেই তারা তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/18KPu
ছবি: DW

রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে স্পিকার আব্দুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়৷ এরপর তাঁর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে ৩টি মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়৷ রবিবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে আর কেউ রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেননি৷ ফলে সোমবার বাছাই শেষে আবদুল হামিদই হলেন বাংলাদেশের ২০ তম রাষ্ট্রপতি ৷

এই মনোনয়নের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এমপি জানান, আবদুল হামিদের গ্রহণযোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই৷ তাছাড়া তিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও দলের পরীক্ষিত নেতা৷ তাই তার মনোনয়ন নিয়ে তাদের মধ্যে কোন দ্বিমত ছিলনা৷

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁদের দাবি ছিল একজন দলনিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি করা৷ আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি পদে সরকারি দল মনোনয়ন দেয়ায় তাদের সে দাবি বা আশা পূরণ হলনা৷ তবে এবিষয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে৷

গত ২০শে মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হয়৷ তবে রাষ্ট্রপতি অসুস্থ থাকায় ১১ই মার্চ থেকেই স্পিকার আবদুল হামিদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন৷ সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন৷ সংসদ ভবনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৯শে এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত৷ মোট ৩৪৯ সংসদ সদস্য ভোটার৷ একজন সংসদ সদস্যের মৃত্যুর কারণে একটি সংসদীয় আসন খালি আছে৷ এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ২৭২ জন৷

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ দিন ছিল ২২শে এপ্রিল সোমবার৷ আর কোন প্রার্থী না থাকায় এবং এবং আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে টিকে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন সোমবারই তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেন৷ তিনি পরবর্তী ৫ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন৷

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ডয়চে ভেলেকে বলেন, আব্দুল হামিদ দলীয় হলেও তিনি বেশ গ্রহণযোগ্য এবং তার নিরপেক্ষতার সুনাম আছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ এখন পর্যন্ত শোনা যায়নি৷ তবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সাংবিধানিকভাবেই সীমিত৷ তাই দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তিনি কতটা ভূমিকা রাখতে পারেন, তা প্রশ্নসাপেক্ষ৷ তবুও তিনি আশা করেন, আবদুল হামিদ তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং গ্রহণযোগ্যতা কাজে লাগিয়ে জাতিকে আশার আলো দেখানোর চেষ্টা করবেন৷

আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১লা জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠাইমন উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন৷ ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন৷ ১৯৭০ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি মোট ৮ বার আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ ৭ম জাতীয় সংসদে তিনি প্রথমে ডেপুটি স্পিকার এবং পরে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন৷ আর ৯ম জাতীয় সংসদের শুরুতেই তিনি স্পিকারের দায়িত্ব পান৷ ১১ই মার্চ থেকে ২২শে এপ্রিল পর্যন্ত তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন৷ আবদুল হামিদ ৩ পুত্র এবং ১ কন্যা সন্তানের জনক৷

আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি হওয়ায় সংসদে স্পিকারের পর শূন্য হয়েছে৷ এখন সংসদের চলতি অধিবেশনেই নতুন স্পিকার নির্বাচন করা হবে৷ আর রাষ্ট্রপতি হামিদের সংসদীয় আসনও শূন্য হয়ে গেছে৷ সেখানে নতুন নির্বাচন হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য