আবারো নব্বইয়ে সাজঘরে ফিরলেন টেন্ডুলকার
২৫ নভেম্বর ২০১১ড্যারেন সামি, মানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক আগেভাগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, কিছু ভারতীয়'র হৃদয় ভেঙে দেবেন তিনি৷ আর সেটা তিনি করবেন, টেন্ডুলকারকে শততম শতকের আগেই বিদায় করে৷
স্যামি তাঁর কথা রেখেছেন বটে, তবে তাতে কিছু ভারতীয় নয়, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘মিলিয়ন ইন্ডিয়ানস'এর হৃদয় ভেঙেছে৷ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হাজার পনের দর্শক শুক্রবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন টেন্ডুলকারের শতক উদযাপনের জন্য৷ গণনাও চলছিল৷ কিন্তু ঠিক, ৯৪ রানে কপাল পুড়ল ক্রিকেট রাজপুত্রের৷
শতক থেকে ৬ রান দূরে থাকতে টেন্ডুলকার আউট হওয়ায় মাঠে থাকা দর্শকরা মুহূর্তেই নীরব হয়ে যান৷ টেলিভিশনে চোখ রাখা লাখো ভক্তও থমকে যান ক্ষণিকের জন্য৷ একটি বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন টেন্ডুলকার৷ রবি রামপালের করা অফ-স্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করেন তিনি৷ কিন্তু বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে ড্যারেন সামির হাতে৷ এমন আউট নিয়ে বিতর্কেরও কোন সুযোগ নেই৷
যাহোক, ১৮৪ টেস্টে এই নিয়ে দশবার নব্বইয়ের ঘরে বিদায় নিলেন টেন্ডুলকার৷ নিরানব্বইতম শতকটি তিনি সম্পন্ন করেন গত মার্চে, নাগপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে৷ গত আগস্টে একবার শততম শতকের সুযোগ হারান টেন্ডুলকার৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ৯১ রানে থেমে যান তিনি৷
বলাবাহুল্য, শচীন টেন্ডুলকার মানেই কিন্তু ক্রিকেটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি৷ একদিনের ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি তাঁর দখলে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে ২০০ রান করেন তিনি৷ এছাড়া একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানও করেছেন তিনি৷ ৪৪২ ইনিংসে টেন্ডুলকারের সংগ্রহ ১৮১১১ রান৷ তাঁর এই রেকর্ডের কাছেপিঠে এখনও পৌঁছাননি অন্য কোন ক্রিকেটার৷ একদিনের ক্রিকেটে ৬২ বার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন তিনি৷ টেস্টেও সর্বোচ্চ শতক তাঁর দখলে৷ এবার অপেক্ষা শুধু শততম শতকের রেকর্ডের৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক