1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ উত্তর প্রদেশে

২ অক্টোবর ২০২০

হাথরাস, বলরামপুরের পর এ বার মথুরা। ৩৬ বছর বয়সী এক নারীকে দুই জন মিলে ধর্ষণ করেছে।

https://p.dw.com/p/3jJYb
ছবি: Reuters/R. De Chowdhuri

যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এখন প্রতিদিনই ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসছে। হাথরাস নিয়ে সারা দেশ যখন আন্দোলিত, তখনই বলরামপুরে দলিত তরুণীকে ধর্ষণের খবর এলো। তার পরের দিনই আবার মথুরায় ধর্ষণ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এত কাণ্ডের পরেও যোগী-রাজ্যে ধর্ষকদের মনে বিন্দুমাত্র ভয়ও দেখা যাচ্ছে না।

মথুরায় গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় ধর্ষিতা নারী সহ চারজন একটি বিয়েবাড়িতে দুইটি ঘর ভাড়া নেন। মাঝরাতে ধর্ষিতা জলের খোঁজে ঘরের বাইরে যান। ওই বিয়েবাড়ির এক কর্মী তাঁকে ভুল পথ দেখিয়ে ছাদে নিয়ে যায় এবং দুই জন মিলে ধর্ষণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যজনের খোঁজ চলছে।

অন্যদিকে, দিল্লির দলিত বস্তিতে গিয়ে হাথরাসের ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রার্থনায় অংশ নিতে চেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। কিন্তু পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি আছে। তিনি সেখানে যেতে পারবেন না। ঠিক এই যুক্তি দেখিয়েই উত্তর প্রদেশের পুলিশ রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে হাথরাস যেতে দেয়নি। দিল্লি ঘেঁষা নয়ডাতেই তাঁদের থামিয়ে দেয়। রাহুলকে পুলিশ ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ। রাহুলের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে পুলিশ। রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার প্রতি পুলিশের এই ব্যবহারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছে কংগ্রেস কর্মীরা।

শুক্রবার ইন্ডিয়া গেটেও প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল কিছু দলিত সংগঠন। কিন্তু পুলিশ তারও অনুমতি দেয়নি। তারা জানিয়ে দিয়েছে, একমাত্র যন্তর মন্তরে একশ জনকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো যেতে পারে। সেটাও আগাম অনুমতির পরে।

তবে হাথরাসের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, পরিবারকে আটকে রেখে কী করে পুলিশ ধর্ষিতার শেষকৃত্য করল? আর বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মেরে ফেলা হোক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টা তো শুধু ধর্ষকদের শাস্তি নয়, সেটা তো আদালত দেবে। প্রশ্ন হলো, কী করে এই ধরনের ধর্ষণ হতে পারে, কেন উত্তর প্রদেশে দলিত মেয়েদের এই ভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হচ্ছে, পুলিশ ও প্রশাসন কেন সবকিছু লুকোতে চাইছে এবং অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং কেন প্রতিবাদের সব পথ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে? তাঁদের আরো প্রশ্ন, এনকউন্টারে মারাটা কবে আইনসম্মত হলো? বিজেপি-র সাংসদরা কী করে এই দাবি তুলতে পারেন?

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)