আরেক কিশোরী ‘টিকটক হৃদয়' চক্রের শিকার
৯ জুলাই ২০২১ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, "একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক তার মেয়ে টিকটক হৃদয় বাবুর মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন৷ আমরা তার অভিযোগ গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি৷''
১৫ বছর বয়সী কিশোরীর বাবা মো. মনা রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলাও দায়ের করেছেন বৃহস্পতিবার৷
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মো. মনার পাচার হওয়া কিশোরী কন্যা বর্তমানে ভারতের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে বলে তারা জানতে পেরেছেন৷ সম্প্রতি টিকটক হৃদয় চক্রের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসা এক তরুণী ভারতে তার নির্যাতনের কথা সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরে৷ এবং তার কাছ থেকে পাচার হওয়া মেয়েদের মধ্যে তার মেয়ের নামও রয়েছে বলে জানতে পারেন৷ তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবি দেখানোর পর তার মেয়েকে সে চিনতে পারে৷
মামলার এজাহারে মো. মনা অভিযোগ করেন, " দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে তাদের মা মাঝে মধ্যে হাতিরঝিল ঘুরতে যেতেন৷ সেখানেই নবম শ্রেণিতে পড়া বড় মেয়ের সঙ্গে টিকটক হৃদয় বাবুসহ কয়েকজন ছেলেমেয়ের পরিচয় হয়৷ গত ১৭ মার্চ বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি৷ অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি৷''
মামলায় রিফাতুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, সম্প্রতি এক তরুণী টিকটক হৃদয় বাবুর খপ্পরে পড়ে ভারতে পাচার হওয়ার পর নানা নিপীড়নের শিকার হন৷ পরে ওই তরুণী দেশে পালিয়ে এসে হাতিরঝিল থানায় টিকটক হৃদয় বাবুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গত ১জুন একটি মামলা করেন৷ তার কাছ থেকেই নিজের মেয়েও সেখানে রয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন৷ মামলায় অভিযোগ, টিকটক হৃদয় বাবু ছাড়াও সবুজ (৩০), সাগর (২৭), রুবেল ওরফে রাহুল (৩১) এবং আরও কয়েকজন চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে তার মেয়েকে বেঙ্গালুরুর আনন্দপুরা সার্কেলের একটি বাসায় পাচার করে৷
ভারতে বাংলাদেশি তরুণী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হলে বেঙ্গালুরু পুলিশের অভিযানে কয়েকজনসহ টিকটক হৃদয় বাবু গ্রেপ্তার হয়৷ বিভিন্ন তদন্তে দেখা যায়, ওই তরুণী ছাড়াও টিকটক হৃদয়ের চক্র বিভিন্নভাবে অনেককে পাচার করেছে ভারতে৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)