‘আলোকিত মানুষ’ গড়ছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র
‘আলোকিত মানুষ চাই’ – এ স্লোগান নিয়ে ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু করেছিল বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র৷ ঢাকা কলেজের পেছনে এক ছোট্ট মিলনায়তনে মাত্র ১৫ জন্য সভ্য নিয়ে শুরু করা সেদিনের সেই ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটি আজ বিশাল মহীরূহে রূপ নিয়েছে৷
বাংলামোটরে নতুন ভবন
ঢাকার বাংলা মোটরে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নতুন ভবন৷ নয় তলা বিশিষ্ট এ ভবনের প্রায় ৫৭,০০০ বর্গফুট জুড়ে আছে সমৃদ্ধ পাঠাগার, চিত্রশালা, মিলনায়তন, সংগীত ও চলচ্চিত্র আর্কাইভ, অতিথি কক্ষ, বই বিক্রয় কেন্দ্র ইত্যাদি৷
প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ৷ গত প্রায় ৩৫ বছর ধরে যিনি নিরন্তর কাজ করে চলছেন আলোকিত মানুষ গড়ার লক্ষ্যে৷
যেখানে আছে দুই লাখ বই
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ভবনের ‘কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি’৷ এর সমৃদ্ধ সংগ্রহশালায় আছে প্রায় দুই লাখ বই৷ বছরে দশ হাজারের মতো পাঠক-পাঠিকা এই গ্রন্থাগার থেকে বই পড়ার সুযোগ পান৷ শুধু পাঠাগারেই নয়, এখান থেকে বই বাড়িতে নিয়ে পড়ারও সুযোগ আছে৷
প্রকাশনায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নানান কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম প্রকাশনা কার্যক্রম৷ এই কর্মসূচির আওতায় বাংলা ভাষাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ভাষার শ্রেষ্ঠ বইগুলো প্রকাশ করে থাকে৷
ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার
বাংলাদেশে ভালো গ্রান্থাগার ব্যবস্থার অভাববোধ থেকেই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র চালু করে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার ব্যবস্থা৷ এই ভ্রাম্যমাণ পাঠাগার প্রতি সপ্তাহের নির্ধারিত সময়ে শহর ও গ্রাম মিলিয়ে গড়ে ৪০টি এলাকায় গিয়ে আধঘণ্টা থেকে দু’ঘণ্টা পর্যন্ত সদস্যদের মধ্যে বই দেওয়া-নেওয়া করে৷ ১৯৯৯ সালে চালু হওয়া এই কার্যক্রম বর্তমানে বাংলাদেশের ৫৮টি জেলার ২৫০টি উপজেলার ১৯০০ লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে৷
আছেন গ্রন্থাগরিক
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিগুলোর প্রতিটিতে কজ করেন একজন করে গ্রন্থাগারিক বা লাইব্রেরিয়ান৷ পাঠকদের কাছে বই বিতরণ, পাঠ শেষে বই বুঝে নেয়সহ ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির তদারকি করেন তাঁরা৷
সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত
বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারে সাধারণ সসদ্য ও বিশেষ সদস্য হয়ে বই পড়ার সুযোগ আছে সমাজের সব শ্রেণির, সব বয়সের মানুষের৷ সদস্যরা সপ্তাহের নির্ধারিত সময়ে এলাকায় আসা লাইব্রেরি থেকে পছন্দের বইটি বাড়িতে নিয়ে পড়ার সুযোগ পান৷
গাড়িতে পছন্দের বই পড়ার সুযোগ
সপ্তাহের নির্ধারিত সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়া বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারে বসেও বই পড়ার সুযোগ আছে পাঠকদের৷ এছাড়াও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের অন্যান্য কার্যক্রমের মধ্যে আছে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম, আলোর স্কুল, আলোর পাঠশালা, শ্রবণ দর্শন, প্রাথমিক শিক্ষকদের বই পড়ার কর্মসূচি ইত্যাদি৷