আলোচনার আগে উত্তর কোরিয়ার জন্য আস্থা অর্জনের শর্ত
১৪ জানুয়ারি ২০১১আর মাত্র ক'দিন পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও৷ ১৯ জানুয়ারি চীনা নেতার সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ তার আগে চীন, জাপান হয়ে কোরিয়া সফরে গেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস৷ কথা বললেন চীনের সামরিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে৷ একইসাথে কোরিয়া উপদ্বীপের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে সম্ভাব্য উদ্যোগ সম্পর্কেও আলোচনা করলেন আঞ্চলিক নেতাদের সাথে৷
চীন প্রসঙ্গে গেটস-এর বক্তব্য, ‘‘চীনা সামরিক বাহিনীকে তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্যাটেলাইট-বিধ্বংসী যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সমৃদ্ধ করা, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই অঞ্চলে নিয়োজিত আমাদের বাহিনীর অভিযান ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাব্য হুমকি৷'' তবে ওয়াশিংটন এবং টোকিও'র যৌথ বাহিনী উচ্চ-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব হুমকি মোকাবিলায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ অবশ্য একইসাথে গেটস বলেন, ‘‘চীনকে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবশ্যম্ভাবী কৌশলগত শত্রু হিসেবে বিবেচনা করেন আমি তাদের সাথে একমত নই৷ বিশ্ব দরবারে চীনের গঠনমূলক ভূমিকাকে স্বাগত জানাই আমরা৷''
এদিকে, কোরিয়া উপদ্বীপে স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক আলোচনার পূর্বে উত্তর কোরিয়াকে আস্থা অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন গেটস৷ এশিয়া সফরের শেষ পর্যায়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সৌলে পৌঁছে এমন মন্তব্য করেন তিনি৷ এছাড়া তিনি বৈঠক করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম কোয়ান-জিনের সাথে৷ এসময় কোয়ান-জিন বলেন, চলতি বছরে উত্তরের পক্ষ থেকে আরো উস্কানিমূলক আচরণের আশঙ্কা করছেন তাঁরা৷ আর এমনটি ঘটলে নিজেদের যথেষ্ট শক্তির পরিচয় দেবে দক্ষিণ বলে সতর্ক করে দেন তিনি৷
অন্যদিকে, শুক্রবার আবারও কোরিয়া উপদ্বীপের স্থিতিশীলতার জন্য থমকে থাকা ছয়জাতি আলোচনা শুরুর পক্ষে কথা বলেছেন চীনা উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী কুই টিয়াংকাই৷ তবে চীন, জাপান, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এবং উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সমঝোতা বৈঠক পুনরায় শুরু করার আগে পিয়ংইয়ংকে বিশ্বস্ততা ফিরিয়ে আনার শর্ত জুড়ে দিয়েছে সৌল এবং ওয়াশিংটন৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন