আলোচনায় রাজি লালজামাধারীরা, সরকারের ‘না’
১৮ মে ২০১০এক পক্ষ আলোচনায় রাজী, আরেক পক্ষ নয়৷ এই হচ্ছে থাইল্যান্ডের বর্তমান পরিস্থিতি৷ থাই পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সে ভবিষ্যতদ্বাণী কেউই করতে পারছেন না৷
এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের এই রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান এবং আন্দোলনকারীদের প্রতি হিংসাত্মক না হবার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ এর পরপরই জানা গেলো অচলাবস্থার অবসানে কিছু করতে চান উচ্চ কক্ষের সেনেট৷ সরকার এবং আন্দোলনকারী- এই দুই পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে আলোচনার উদ্যোগে মধ্যস্থতার অভিপ্রায়ের কথা জানিয়েছেন উচ্চ কক্ষের ৬০ সেনেট৷
আন্দোলনকারীদের নেতা নাট্টাউট সাইকুয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলছেন, ‘‘সেনেটের স্পিকার এবং সেনেটরদের পাঠানো এই চিঠিতে তারা আলোচনা করার জন্য মধ্যস্থতার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা তা মেনে নিচ্ছি''৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে তারা এই আলোচনায় বসার জন্য কোন ধরণের শর্ত দেবেন না৷ বলেছেন, ‘‘সেনেটররা মুক্তশর্তেই আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে পারেন''৷
তবে এক পক্ষ দিয়ে তো আর আলোচনা হয় না৷ প্রয়োজন দুই পক্ষের ইচ্ছার মিলন৷ কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আন্দোলন বন্ধ না করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয় তারা৷ প্রধানমন্ত্রীর অফিস বিষয়ক মন্ত্রী সাথিত ওনংননটোয়ে জানালেন, ‘আগে জায়গা ছাড়ো, তারপর আলোচনার বিষয়টি বিবেচনায় আসবে৷ এছাড়া আর কোন কথা নয়৷’
আলোচনার বিষয়ে কথাচালাচালির এ পর্যায়ে কিন্তু থেমে নেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে থাকসিন সমর্থকদের সংঘর্ষ৷ সেনাবাহিনীর রাইফেলের গুলির বিপরীতে লালজামাধারীরা হাতে বানানো বিভিন্ন ধরণের অস্ত্র আর গুলতি ছুঁড়ে এর জবাব দিচ্ছেন৷ অব্যাহত রয়েছে রাস্তায় রাস্তায় গাড়ির পুরানো টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা৷ সেনাবাহিনী এবং আন্দোলনকারী, উভয়ই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য গড়ে তুলেছেন বালির বস্তার বাঁধ৷
আন্দোলনকারীদের অবস্থানস্থলের সকল পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা৷ আর এই কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে খাদ্য ও পানীয়ের৷ এই অভাবের মধ্যেও ঘরে ফিরে যেতে রাজী নন লাল জামাধারীরা৷ তাদের এক কথা, আমাদের দাবি মানতে হবে, তাহলেই ঘরে ফেরার কথা আসবে৷ আর এ কথা তো সকলেরই জানা যে , লালজামাধারীরা চাইছেন প্রধানমন্ত্রী আপিসিত সরে যাক, ভেঙ্গে দিক জাতীয় সংসদ, নতুন করে হোক নির্বাচন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন