এবার আলোচনায় সিরিয়ার দুই পক্ষ
১০ জুলাই ২০১৭২০১৪ সালে প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে এই ধরনের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়৷ ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এই আলোচনা চলছে৷ তবে দুই পক্ষই নিজেদের দাবিতে অটল থাকায় এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোনো অগ্রগতি নেই৷ বিরোধী পক্ষের দাবি, সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অবশ্যই যেতে হবে৷ আর সরকারি পক্ষ বলছে, প্রেসিডেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো আলোচনা চলবে না৷
ছয় বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে তিন লক্ষ ২০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে৷
জাতিসংঘের উদ্যোগে সিরিয়ার সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সবশেষ আলোচনাটি হয় গত মে মাসে৷ তখন সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের দূত স্টেফান ডি মিস্তুরা বলেছিলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে দূরত্ব এখনও রয়ে গেছে৷''
সোমবারের আলোচনায় প্রত্যাশা প্রসঙ্গে বিরোধী ‘হাই নেগোসিয়েশনস কমিটি'-র মুখপাত্র ইয়েহইয়া আল-আরিদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তাঁর ‘সামান্য আশা' আছে৷
এদিকে, গত জানুয়ারি থেকে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া ও ইরান এবং বিদ্রোহীদের সমর্থনদানকারী তুরস্কের উদ্যোগে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ ফলে জাতিসংঘের উদ্যোগে চলা আলোচনা অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সিরিয়ার বিদ্রোহীরা মনে করছেন, ঐ তিন দেশের উদ্যোগে আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়ার সরকারপক্ষ আসলে আলোচনা প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে৷
গত মে মাসে রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের আলোচনায় সিরিয়ায় চারটি ‘ডি-এস্কেলেশন জোন' তৈরির সিদ্ধান্ত হয়৷ তবে তা এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি৷
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও জর্ডানের উদ্যোগে রবিবার থেকে দক্ষিণ সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে৷ এর আওতায় তিনটি রাজ্য পড়েছে৷ প্রস্তাবিত চার ‘ডি-এস্কেলেশন জোন'-এর মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির আওতায় পড়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, এপি)