আসিয়া বিবিকে নাগরিকত্ব দিচ্ছে ফ্রান্স
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০প্রাথমিকভাবে মাক্রোঁর সূচিতে বিষয়টি ছিল না৷ কিন্তু সোমবার আসিয়া বিবি ফ্রান্সে আশ্রয় নেবার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর সেদিন সন্ধ্যায়ই প্রেসিডেন্টের অফিস তাঁকে গ্রহণ করার ঘোষণা দেয়৷
সোমবার জার্মান রেডিও নেটওয়ার্ক আরটিএলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আসিয়া ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবার আগ্রহের কথা জানান৷
‘‘ফ্রান্সে থেকে যাওয়ার খুব ইচ্ছা আমার,'' আরটিএলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন আসিয়া৷ সম্প্রতি ফ্রেঞ্চ ভাষায় ‘অঁ ফাঁ লিবা' (অবশেষে মুক্ত) নামে তাঁকে নিয়ে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে৷ এর ইংরেজি ভার্সনটি প্রকাশিত হবে সেপ্টেম্বরে৷ আসিয়ার অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করে যাওয়া ফ্রেঞ্চ সাংবাদিক অ্যান-ইজাবেল তোলে এই বইয়ের একজন লেখক৷
‘‘ফ্রান্স আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে...অ্যানে-ইজাবেল আমার কাছে ফেরেশতার মতো,'' আসিয়া বলেন৷
২০১৪ সালেই আসিয়াকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় ফ্রান্স৷ তখন তিনি কারাগারে ছিলেন৷ মঙ্গলবার সেই প্রত্যয়নপত্রটি আসিয়ার হাতে তুলে দেয়ার কথা প্যারিসের মেয়র অ্যান হিদালগোর৷
২০১৮ সালে তিনি ও তাঁর পরিবার ক্যানাডায় পালিয়ে যাবার পর এটিই আসিয়ার প্রথম ফ্রান্স সফর৷ সাক্ষাৎকারে ক্যানাডাকেও ধন্যবাদ জানান তিনি৷ আসিয়া বলেন, পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনে আটক অন্যদের মুক্ত করতে তিনি সাংবাদিক তোলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চান৷
২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়া বিবি মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্য মজুরদের সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করছিলেন৷ এ সময় পানি নিয়ে বিতণ্ডা দেখা দিলে এক পর্যায়ে একজন মুসলিম নারী স্থানীয় এক ইমামের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন যে, আসিয়া নবী মোহাম্মদকে অবমাননা করেছেন৷
এরপর বিষয়টি পাঞ্জাবের আদালতে গড়ালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়া হয়৷ আসিয়া আপীল করলে ২০১৮ সালে সুপ্রিমকোর্ট তাঁকে মুক্তি দেন৷ কিন্তু কট্টরবাদীদের প্রতিবাদের কারণে তাঁর জীবনের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেয়ায় তিনি জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছিলেন না৷ পরে ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি ক্যানাডায় পাড়ি জমান৷
জেডএ/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)
২০১৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের আগে করা ছবিঘরটি দেখুন: