ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে আট জনের মৃত্যু
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪পাস-ডি-ক্যালে অঞ্চলের প্রিফেক্ট জ্যাক বিলান্ট জানিয়েছেন, এ বছর এখন পর্যন্ত ফ্রান্সের উপকূল থেকে চ্যানেল অতিক্রম করে ইংল্যান্ড পৌঁছাতে গিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪৬ এ পৌঁছেছে৷
এই মাসের শুরুর দিকেই নৌকাডুবিতে ১২ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল৷
বিলান্ট বলেন, উদ্ধারকারী কর্মীদের সতর্ক করা হয়েছিল যে ৫৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা পাস-ডি-ক্যালে এলাকার আব্লোতোস উপকূলে দুর্দশায় পড়েছে৷
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমরা আট জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি৷ দুর্দশাগ্রস্ত নৌযানটি খুব দ্রুতই সংকটে পড়ে এবং পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়৷''
নৌকায় থাকা অপর ৫১ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা ইরিত্রিয়া, সুদান, সিরিয়া, মিশর, ইরান এবং আফগানিস্তান থেকে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিলান্ট৷
বিলান্টের মতে, হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত ১০ মাস বয়সি এক শিশুসহ ছয়জনকে ‘জরুরি অবস্থা' বিবেচনায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷
সংকট চলমান
প্রবল স্রোতের ফলে ইংলিশ চ্যানেল বেশ বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে৷ ছোট নৌকাগুলো এর ফলে নিয়মিতই বড় ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে৷ তারপরেও নিজ দেশে যুদ্ধ বা দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে আসা বহু মানুষ নিয়মিতই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছোট নৌকায় চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন৷
বিলান্টের মতে, কেবল ১৪ সেপ্টেম্বরই ফ্রান্স থেকে চ্যানেল পাড়ি দেয়ার আটটি প্রচেষ্টা নেয়া হয়৷ একদিনেই অন্তত ২০০ মানুষকে চ্যানেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের মতে, এই বছরের শুরু থেকে ২২ হাজারেরও বেশি অভিবাসী চ্যানেল পার হয়ে ইংল্যান্ডে পৌঁছেছেন৷
ঋষি সুনাকের নেতৃত্বাধীন সাবেক রক্ষণশীল সরকার ‘নৌকা বন্ধ করুন' স্লোগান পরিচিত করে তুলেছিল৷ নবনির্বাচিত লেবার সরকারও অভিবাসীদের চ্যানেল পারাপারে সহায়তা করা অপরাধী চক্রকে দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছে৷
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন সংঘাত বা পর্যাপ্ত খাদ্য ও জল সরবরাহের অভাবে অসহনীয় পরিস্থিতিতে বসবাস করতে বাধ্য হওয়া লাখ লাখ মানুষের এই প্রচেষ্টা এত সহজে বন্ধ হবে না৷
সমস্যার আংশিক সমাধান হিসেবে ব্রিটেনে অভিবাসনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের আইনি ও নিরাপদ বিকল্প প্রস্তাব করার আহ্বান জানিয়েছেন অনেকে৷
এডিকে/টিএম (এএফপি, এপি)