1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-কে অর্ধেক টিকা দিতে পারবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ইইউ-কে অর্ধেক টিকা দিতে পারবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। জনসনের টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা ইইউ-র।

https://p.dw.com/p/3pwdR
অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ছবি: Lafargue Raphael/abaca/picture alliance

আশ্বাস পূরণ করতে পারল না অ্যাস্ট্রাজেনেকা। বৃহস্পতিবার কনফারেন্স কলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সংস্থাটি জানিয়েছে, মার্চের শেষে তাদের যে পরিমাণ ভ্যাকসিন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দেওয়া কথা ছিল, তার অর্ধেক দিতে পারবে। এর ফলে ইইউ-র টিকাকরণ অনেকটাই হোঁচট খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা আগেই এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তারা জানিয়েছিল, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের ডোজ তারা তৈরি করতে পারবে বলে মনে করেছিল, বাস্তবে তা সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য, টিকার সামগ্রীর অভাবকেই দায়ী করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার ইইউ-র সঙ্গে কনফারেন্স কলে কথা হয় অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধানের। সেখানে তিনি বলেন, মার্চের মধ্যে ইইউ-কে ৯০ মিলিয়নের বদলে ৪০ মিলিয়ন টিকা দিতে পারবে সংস্থাটি। এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের টিকাকরণের গতি অনেকটাই বাধা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ইইউ-তে মাত্র আট শতাংশ বয়স্ক মানুষকে টিকা দেওয়া গেছে। অ্যামেরিকা, ইসরায়েল এবং যুক্তরাজ্যে এর চেয়ে অনেক বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। ফলে ইইউ বিকল্প ভাবনা ভাবতে শুরু করেছে।

এখনো পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে তিনটি সংস্থার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার এবং মডার্নার। আগামী মাসেই জনসন অ্যন্ড জনসনের টিকাকে সেখানে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান জানিয়েছেন, ইউরোপের বাইরেও বিভিন্ন কারখানায় ভ্যাকসিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অ্যামেরিকাতেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে টার্গেট অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে বলে মনে করছে তারা।

শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়ন নয়, গোটা বিশ্বেই দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কম টিকা দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে সংস্থাটি কিছু জানায়নি। গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ১৮০ মিলিয়ন ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। তাও প্রায় ৯০ মিলিয়নে নেমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ দিকে একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, জার্মানিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিতে চাইছেন না সাধারণ মানুষ। এই টিকাটিকে দ্বিতীয় শ্রেণির ভ্যাকসিন বলে মনে করছেন অধিকাংশ জার্মান নাগরিক। যদিও জার্মানির তরফে এ বিষয়ে কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, এপি)