ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে না জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫সোমবার হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানের সঙ্গে বৈঠক করেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বৈঠক শেষে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমি মনে করি, এই (ইউক্রেন) সংকট সামরিক শক্তি প্রয়োগে সমাধানযোগ্য নয়৷'' পাশাপাশি তিনি এ-ও জানান, ইউক্রেন সরকারের দাবি অনুযায়ী জার্মানি তাদের অস্ত্র সরবরাহ করবে না৷
সোমবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ইউক্রেন সরকারকে শিগগিরই অস্ত্র সরবরাহ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন না দিয়ে রাশিয়া যাতে ইউক্রেন সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখতে উদ্যোগী হতে বাধ্য হয় সেই লক্ষ্যে কঠোর অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেন সরকারের অন্য মিত্ররা৷ এর বাইরে যুদ্ধ জয়ের জন্য ইউক্রেন সরকারকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দেয়ার কি এ মুহূর্তে দরকার আছে? যুক্তরাষ্ট্র সরকার এখনো মনে করছে, তার দরকার নেই৷ তাই সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার বেন রোডস বলেছেন, ‘‘(যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে) অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করার কোনো সম্ভাবনা নেই৷ রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আমরা সেরা অস্ত্রটাই প্রয়োগ করছি আর তা হলো (অর্থনৈতিক) অবরোধ৷''
এদিকে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সুফল প্রাপ্তির কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না৷ ইউক্রেনে যুদ্ধ এখনো চলছে৷ সোমবারও রুশ-পন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের পাঁচজন সেনাসদস্য নিহত এবং ২৮জন আহত হয়েছেন৷ পূর্ব ইউক্রেনের ডেবাল্টসেভে রেল স্টেশনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে৷
এই পরিস্থিতির মাঝে ইউক্রেন এবং রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে একটি বৈঠকও হয়েছে শনিবার৷ মিনস্কে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি অবশ্য যথারীতি ব্যর্থ হয়েছে৷ বৈঠক শেষে বরং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা আলেকজান্ডার জাখারচেঙ্কো জানিয়েছেন, লুগানস্ক এবং দোনেৎস্কে আরো সৈন্য বাড়িয়ে তাঁরা নিজেদের শক্তি বাড়াবেন৷
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ)