ইউক্রেনের জন্য সহায়তা, রাশিয়ার জন্য শাস্তি
২১ এপ্রিল ২০২৩গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার হামলার শুরু থেকেই পশ্চিমা বিশ্ব পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ইউক্রেনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে চলেছে৷ জার্মানির রামস্টাইনে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে নিয়মিত মিলিত হয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা ইউক্রেনের চাহিদা ও সম্ভাব্য সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আরো যুদ্ধবিমান ও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের অনুরোধ করায় শুক্রবার আবার এমন এক বৈঠক বসছে৷ প্রায় ৫০টি দেশের প্রতিনিধি সেই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন৷
ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার নিজে কিয়েভে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন৷ তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন৷ জেলেনস্কি ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য আরও সহায়তার পাশাপাশি দ্রুত ন্যাটোয় যোগদানের আমন্ত্রণ পেতে চান৷ জুলাই মাসে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনেই তিনি এমন ‘ঐতিহাসিক' পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন৷ তাছাড়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, আধুনিক বোমারু বিমান ও সাঁজোয়া গাড়ি সরবরাহের ক্ষেত্রে কিছু সদস্য দেশের অনিচ্ছা দূর করতে তিনি ন্যাটোর সহায়তা চেয়েছেন৷ উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে জার্মানি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নত প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং এবং আইরিস-টি নামের অ্যান্টি এয়ার মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করেছে৷
সরাসরি জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে না নিলেও ন্যাটোর মহাসচিব ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহের প্রয়োজন তুলে ধরেন৷ বিশেষ করে আরও গোলাবারুদ এবং সামরিক সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণের মাত্রা বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি৷ স্টলটেনবার্গ বলেন, ন্যাটো আজ, আগামীকাল এবং যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনের পাশেই থাকবে৷ তিনি বলেন, ইউরো-অ্যাটলান্টিক পরিবারই ইউক্রেনের সঠিক জায়গা৷ রাশিয়া আবার ইউক্রেনের ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করেছে৷
ইউক্রেনের জন্য আরো সহায়তার পাশাপাশি রাশিয়ার উপর আরো চাপ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন রাশিয়ায় প্রায় সব পণ্যের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জাপানের কিয়োডো সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে৷ ব্লুমবার্গ নিউজ-ও এমন নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করেছে৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু জি-সেভেন নয়, ইউক্রেনের সহযোগী দেশগুলিও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে পারে৷ আগামী মাসে জাপানে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতে পারে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)