ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য ব্রুকলিনে চাকরির মেলা
ইউক্রেন থেকে এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের জন্য ব্রুকলিনে আয়োজন করা হয়েছিল চাকরির মেলা৷ শত শত শরণার্থী চাকরিতে যোগ দেয়ার আশায় এসেছিলেন মেলাপ্রাঙ্গণে৷
কেন এই মেলা?
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে দুই লাখের বেশি ইউক্রেনীয় শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন আটলান্টিকের অপর পারের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে৷ বিভিন্ন আবাসনে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাস করলেও এদের অনেকেরই রয়েছে নানা ধরনের যোগ্যতা৷ তাদের সেই যোগ্যতাকে কাজে লাগাতে চায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান৷ শরণার্থীরাও কাজ করার সুযোগ পেয়ে বেশ আনন্দিত৷
দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা
এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন সাড়া ফেলেছে ইউক্রেনের শরণার্থীদের মধ্যে৷ সকাল থেকেই আয়োজনস্থলের ভেতরে-বাইরে দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলা এবং সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য অপেক্ষা করেছেন শত শত মানুষ৷ আশ্রয়দানকারী দেশের জনশক্তিতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারার সুযোগ পেয়ে তারা যারপর নাই আনন্দিত৷
মেলার আয়োজক
ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা এডিথ অ্যান্ড কার্ল মার্কস জিউয়িশ কমিউনিটি হাউজ অব বেনসনহুর্স্ট- জেসিএইচ৷ তাদের সঙ্গে অংশীদার হিসাবে ছিল ইউজিএ-ফেডারেশন অব নিউ ইয়র্ক৷
কারা ছিল মেলায়?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এই চাকরি মেলায় অংশ নিয়েছে৷ মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তথ্য প্রযুক্তি থেকে শুরু করে ভারি শিল্পের অনেক প্রতিষ্ঠান উপস্থিত ছিল৷ এছাড়া বেশ কয়েকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানও তাদের হয়ে কাজের সুযোগ দিতে হাজির হয়েছে মেলায়৷
ভাষাগত জটিলতা
শরণার্থীদের অনেকেই ভালো ইংরেজি জানেন না৷ ফলে ভাষাগত কারণে যাতে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য মেলায় অনুবাদকের ব্যবস্থাও ছিল৷ যারা ইংরেজি জানেন কিন্তু ভাষাটিতে পর্যাপ্ত দক্ষতা নেই, তাদের জন্য ভাষা শিক্ষার কোর্স অফার করা হয়েছে৷
কারিগরি শিক্ষা
মেলাটি আয়োজন করা হয়েছে চাকরির জন্য বটে, কিন্তু যেসব শরণার্থী নিজেদেরকে বিশেষ কোনো কাজে দক্ষ করে করে গড়ে তুলতে চান, তাদের জন্যও রয়েছে ব্যবস্থা৷ কয়েকটি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শরণার্থীদের জন্য এই সুযোগ নিয়ে মেলায় হাজির হয়েছে৷ এর মাধ্যমে দ্রুতই কোনো একটি ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষ করে তুলে যাতে চাকরির বাজারের মূল স্রোতে তারা অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, সেটিই এই আয়োজনের লক্ষ্য৷
সমর্থনই মূল লক্ষ্য
ইউক্রেনের শরণার্থীরা যাতে নিজেদের অনাহুত বা সমাজের বোঝা মনে না করেন, সেটাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা৷ চাকরিটাই মূল নয়, বরং ইউক্রেনের শরণার্থীরা যাতে নিজেদের একা মনে না করেন সেটা তুলে ধরে তাদের পাশে দাঁডা়নোটা জরুরি বলে মনে করেন তারা৷