‘যুদ্ধ চায় না রাশিয়া'
৩ মার্চ ২০১৪সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি-র সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ৷ লাভরভ জানান, ইউক্রেনের বিষয়ে রাশিয়ার পদক্ষেপে চীনেরও সমর্থন রয়েছে৷ তাঁর মতে, টেলিফোনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন ইউক্রেন বিষয়ে চীন রাশিয়ার মতামতের সঙ্গে মোটামুটি একমত৷
এর আগে ইউক্রেনে রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের অপসারণের পর ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া৷ ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের নিরাপত্তার জন্য সামরিক অভিযানের অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ৷ বিশ্বনেতৃবৃন্দের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেলিফোনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনকে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হতে পারে এমন পদক্ষেপ থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান৷ জবাবে পুটিন বলেন, ইউক্রেনের রুশ ভাষাভাষীদের নিরাপত্তা রক্ষা করা রাশিয়ারও দায়িত্ব৷
ওবামার সঙ্গে পুটিনের টেলিফোন সংলাপের পরও ইউক্রেনের বিষয়ে আগের অবস্থান থেকে সরেনি রাশিয়া৷ সীমান্তে এখনো দেড় লক্ষের মতো সেনা সদস্য রয়েছে৷ এছাড়া ক্রাইমিয়ার পাশের একটি সংকীর্ণ জলপ্রবাহের তীরে রাশিয়া সাঁজোয়া গাড়িও নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে৷ ইউক্রেনের এক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সাঁজোয়া গাড়ির সংখ্যা সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি৷
সীমান্তে সেনা মোতায়েন বা সাঁজোয়া গাড়ির বহর নিয়ে যাওয়াকে শুধু রুশ ভাষাভাষী ইউক্রেনীয়দের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রিগরি কারাসিন বলেছেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না৷ আমি মনে করি, রাশিয়ার কোনো মানুষই এ যুদ্ধ চায় না৷''
এসিবি/এসবি (এএফপি, রয়টার্স)