ইউক্রেনে ভাল্লুকদের নেশাভাঙ বন্ধ হল
৪ আগস্ট ২০১১প্রথাটা আসলে সেই জারদের আমলের রুশ সাম্রাজ্য থেকেই৷ শোনা যায়, ও'ভাবেই নাকি এই ভাল্লুক রাশিয়ার প্রতীক হয়ে ওঠে৷ ভাল্লুক ধরা, ভাল্লুককে পোষ মানানো এবং শেষমেষ ভদকা ধরানো৷ রুশ সাম্রাজ্য যাবার পর সোভিয়েত সাম্রাজ্য, ইউক্রেন যার অঙ্গ ছিল৷ কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রী স্লচেভস্কি এখন বলছেন, ও'সব অমানবিক কাণ্ডকারখানা এই আধুনিক যুগে চলে না৷ ‘‘টেলিভিশনে রোজ দেখা যায়, ভাল্লুকরা কীভাবে বার-রেস্তরাঁ-মোটেলে কষ্ট পাচ্ছে৷ কতোদিন আমরা জীবজন্তুদের ওপর এই অত্যাচার সহ্য করব? রেস্তরাঁয় মাতাল গেস্টরা ভাল্লুকদের জোর করে ভদকা খাওয়াচ্ছে শুধু লোক হাসানোর জন্য৷''
ভাল্লুকদের মহুয়া প্রীতির কাহিনী আমাদের জানা৷ মধুতে তাদের লোভ, এবং বলতে কি, সব ধরনের মিষ্টিতেই৷ ভদকার স্বাদ তাদের কেমন লাগে, কে জানে৷ আর যে ভাল্লুকদের টেডি বেয়ার বলে সারা দুনিয়ার ছেলেমেয়েরা কোলেকাঁখে করে ঘুরে বেড়ায়, সেই গোবেচারা, রোমশ জীবটির উপর ঠিক সেই দুনিয়া ভরেই অত্যাচার চলেছে অদূর অতীতেও৷ ভারতে নাকে দড়ি বেঁধে ভালুক নাচ৷ পাকিস্তানে ভাল্লুকের দাঁত-নখ উপড়ে ফেলে, তাদের খুঁটিতে বেঁধে রেখে কুকুর লেলিয়ে দেওয়া৷ চীনে তাদের লিভার থেকে কষ বার করে ওষুধ তৈরি করা৷ আর ইউক্রেনে তাদের বার-রেস্তরাঁয় পোষার নাম করে ভদকা খাইয়ে মাতাল তৈরি করে অন্য মাতালদের মনোরঞ্জন৷
কিন্তু মনুষ্য নামক জীবটির গুণ হল এই, সে তার নিজের ভুল চিনতে এবং শোধরাতে জানে৷ ইউক্রেনের পরিবেশমন্ত্রী তারই আরও একটি পরিচয় এবং বলতে কি, আমাদের মান রাখলেন৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন