ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪শুক্রবার ভোরে বন্দুকধারীরা ক্রাইমিয়ার মূল বিমানবন্দর ঘিরে ফেলে৷ বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, বন্দুকধারীদের প্রত্যেকের হাতে রাশিয়ার তৈরি কালাশনিকভ দেখা গেছে৷ তবে বন্দুকধারীরা বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটাননি৷
ইউক্রেনে কয়েকমাস ধরে চলে আসা বিক্ষোভের অবসান হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল৷ এর আগে বিক্ষোভের মুখে রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব এনে তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে ইউক্রেনের সংসদ৷ ইয়ানুকোভিচ সঙ্গে সঙ্গে রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে দেশের পূর্বাঞ্চলে আত্মগোপন করেন৷ রাশিয়ায় আশ্রয় নিতেই আত্মগোপন করার জন্যই তিনি রুশভাষাভাষি অধ্যুষিত সে এলাকায় গিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছিল৷
ইয়ানুকোভিচ ক্ষমতাচ্যুত হবার পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ওলেক্সান্দর তুরচিনভ৷ ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন এবং ক্রাইমিয়ার বিমানবন্দর বন্দুকধারীদের ঘিরে ফেলায় তাই পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে৷
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর্সেন আভাকভ বিমানবন্দরের ঘটনার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘তাঁরা (বন্দুকধারীরা) যে রুশ ফেডারেশনের সামরিক বাহিনীর সদস্য তা গোপন করার চেষ্টাও করছেনা৷ যা ঘটছে তাকে আমি সামরিক অভিযান এবং জবরদখল বলে মনে করি৷'' তবে রাশিয়া জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়৷
শুক্রবার ইউক্রেন সংসদে সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন এবং ক্রাইমিয়ার বিমানবন্দর দখল নিয়ে আলোচনা হয়৷ আলোচনা শেষে রাশিয়ার প্রতি ইউক্রেনের ‘সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে প্রতীয়মান পদক্ষেপ' থামানোর আহ্বান জানায় ইউক্রেন সংসদ৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)