1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোকাপ

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২

এ বছরের ইউরোকাপ ফুটবলের যুগ্ম আয়োজক দেশ ইউক্রেন আর পোল্যান্ড৷ প্রস্তুতির দিক থেকে ইউক্রেন বেশ পিছিয়ে থাকলেও তাদের দাবি, সব সামলে দেওয়া যাবে৷

https://p.dw.com/p/14BLZ
ছবি: picture-alliance/dpa

ইউক্রেনের মোট চারটি স্টেডিয়ামে গ্রুপ বি আর গ্রুপ ডি-এর বারোখানা ম্যাচ খেলা হবে আসন্ন ইউরোকাপ ২০১২ তে৷ এছাড়া দু'খানা কোয়ার্টার ফাইনাল আর একটি সেমি ফাইনাল খেলা৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হল রাজধানী কিয়েভের স্টেডিয়ামে ঝকঝকে ফাইনাল ম্যাচ৷ যা কিনা অনুষ্ঠিত হবে পয়লা জুলাই৷

মোদ্দা কথা ইউরোকাপ শুরু হতে বাকি মাত্র ১০০ দিন৷ ইউরোকাপ ফুটবল মানে এক অর্থে রাজসূয় যজ্ঞ৷ এতগুলো ইউরোপীয় দেশ যাতে অংশ নেবে৷ আসবে বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ফ্যান৷ তারা বিভিন্ন শহরে ঘোরাঘুরি করবে, খেলা দেখবে৷ প্রয়োজন পড়বে পরিকাঠামোর খোলনলচে বদলে ফেলার৷ বিমানবন্দর থকে রাস্তাঘাট, রেল ব্যবস্থা থেকে হোটেল বা পর্যটন, খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা ইত্যাদি তো আছেই, আরও জরুরি ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোকে ঠিকঠাক করা৷ আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে আসা এবং এতসব প্রস্তুতি করে ফেলা অত্যন্ত দক্ষ হাতে৷

কাজের ফিরিস্তি মোটের ওপর বোঝা যাচ্ছে কিন্তু তার প্রস্তুতির ফিরিস্তি? সেদিকে তাকালে দেখা যাবে, ১৯৯১ সালে প্রাক্তন সোভিয়েত রাশিয়া থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকে ইউক্রেন গত ২১ বছরে কোন নতুন বিমানবন্দর তৈরি করেনি৷ এদিকে, ইউরোকাপের খেলা দেখতে শুধু ব্রিটেন থেকেই আসবে প্রায় ২৬,০০০ ফুটবল ফ্যান৷ ফ্রান্স থেকে ১১,০০০ ফ্যান৷ অন্যান্য দেশ থেকেও হাজার হাজার মানুষ৷ তাছাড়া খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, দেশ বিদেশের ভিআইপিরা৷ সবমিলে এত লোকের আসা যাওয়ার জন্য প্রয়োজন নতুন কিছু বিমানবন্দরের৷ একটা নয়, বেশ কয়েকটা৷

তো, ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বরিস কোলেসনিকভ সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘‘সব হয়ে যাবে৷ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমরা সতেরোখানা হাই স্পিড ট্রেন কিনেছি৷ ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডের মধ্যে যেগুলো রোজ নয় হাজার করে যাত্রী বহন করবে৷ তাছাড়া অন্যান্য পরিকাঠামোও সব ঠিক করে ফেলব৷ কোথাও কোন সমস্যা হবেনা৷''

পরিকাঠামোর অন্যান্য দিকেও তড়বড়িয়ে কাজ করে চলেছে গোটা দেশ৷ জানিয়েছেন কোলেসনিকভ৷ হোটেল থেকে রাস্তাঘাট, স্টেডিয়াম থেকে খেলার মাঠ, সবক্ষেত্রেই কাজ চলছে৷

তবে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী বেশ প্রত্যয়ী বক্তব্য রাখলেও বোঝা যাচ্ছে, ভিতরে ভিতরে চাপা উদ্বেগ রয়েছে ইউক্রেনের৷ যুগ্ম আয়োজক দেশ পোল্যান্ড সেদিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে ফুটবল মহলের খবর৷ এখন এই আগামী ১০০ দিনকে সঠিক করে ব্যবহার করতেই হবে ইউক্রেনকে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য