1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবৈধ বাংলাদেশিদের নিয়ে বৈঠক

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
২৯ আগস্ট ২০১৭

ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশিদের কীভাবে দেশে ফেরানো যায় তা নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ইইউ-র মধ্যে দু’দিনের এক বৈঠক শুরু হয়েছে৷ বৈঠকে স্টান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/2j21R
Tunesien Libyen Flüchtlinge aus Bangladesch an der Grenze Reisepass
ছবি: dapd

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর দাবি, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ৯৩ হাজার ৪৩৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে প্রবেশের সময় আটক করা হয়েছে৷ চলতি বছর আটক হয়েছেন ৮ হাজার৷ তাঁরা বলছেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের ২৮ দেশে এক লাখেরও বেশ অবৈধ বাংলাদেশি আছেন৷ তারা বাংলাদেশকে এই বাংলাদেশিদের ফেরত নিতে বলছে৷ এর আগে তাঁদের ফেরত না নিলে বাংলাদেশিদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপের কথা বলেছিল ইইউ৷ বাংলাদেশও তাঁদের ফেরত আনতে সম্মত হয়েছে৷ তবে কী প্রক্রিয়ায় ফেরত আনা হবে সেটা নির্ণয় নিয়েই ঢাকায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই বৈঠক৷ 

CR Abrar - MP3-Stereo

ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশের পক্ষে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল ইসলাম৷ আর ইইউ-এর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইইউ পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালনির৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসেই ইইউ এসওপি-র প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশকে চাপ দিয়েছিল৷ পরে তা সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়৷ গত বছরও ইইউ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এসওপির প্রস্তাব দিয়েছিল বাংলাদেশ৷ তবে তখন ইইউ বলেছিল তালিকা অনুযায়ী দু’দিনের মধ্যে আটক লোকজনের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে৷ অন্যথায় ওই সময়সীমা শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে৷

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি ইউরোপীয় দেশগুলোতে বৈধভাবে কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট বা স্থায়ীভাবে থাকার জন্য রেসিডেন্সি পারমিট পেয়েছে৷

এদিকে বাংলাদেশ এরইমধ্যে ইউরোপে তালিকাভুক্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত হতে কিছু পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে বলে সূত্র জানায়৷ ওই সূত্র জানায়, এসওপি অনুমোদন ও স্বাক্ষর হওয়ার পর ন্যাশনাল ডাটাবেজ, এমআরপি পাসপোর্টের তথ্যভাণ্ডারসহ আরো কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে৷

সূত্র আরো জানায়, বাংলাদেশ মনে করে ইউরোপে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত না আনা হলে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সেখানে বৈধভাবে বসবাসকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ তবে বাংলাদেশ চায় একটি যৌক্তিক সময় এবং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাঁদের ফেরত আনা৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিচার্স মুভমেন্ট রিচার্স ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সি আর আবরার এ নিয়ে ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যে কোনো দেশ অবৈধ অভিবাসীদের সেদেশে না রাখতে চাইতেই পারে৷ ইউরোপের দেশগুলোর কিছু সমস্যা আছে অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে৷ তাদের দিকটা আমাদের দেখতে হবে৷ আবার তাদের জোর করে বের করে দেয়াও মানবিক বা যৌক্তিক নয়৷ তাদের ব্যাপারে একটা সম্মানজনক পথ বের হোক এটা আমি চাই৷''

তবে তিনি বলেন, ‘‘এর সঙ্গে ভিসা না দেয়া, ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো শর্ত দেয়া যৌক্তিক নয়৷ আর তা করা হলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ অনেকেই তাদের ন্যায্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন৷''

বৈঠক নিয়ে কোনো পক্ষই এখনো সংবাদমাধ্যমকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য দেয়নি৷ বুধবার এই বৈঠক শেষ হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য