ইউরো ২০২৪ এর জন্য নির্বাচিত জার্মান স্টেডিয়ামসমূহ
১৪ আবেদনকারীর মধ্যে জার্মানির ১০টি শহর ইউরো আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে৷ এই স্টেডিয়ামগুলির ভেতরটা আপনাদের দেখাবো৷ আর তাতেই বুঝবেন জার্মানি উয়েফাকে কীভাবে বোঝাতে সমর্থ হল যে তুরস্ক নয় জার্মানিতেই ইউরো অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত৷
বার্লিন: অলিম্পিক স্টেডিয়াম
১৯৩৬ সালে অলিম্পিক গেমসের জন্য নির্মিত হয় এই স্টেডিয়াম৷ ১৯৮৫ সাল থেকে এখানে জার্মান কাপের ফাইনাল, ডিএফবি পোকাল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে৷ একইসাথে ২০০৬ এর বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালও হয়েছে এই ভেন্যুতে৷
মিউনিখ: আলিয়ানৎস আরেনা
দেখলে মনে হয় মিউনিখের সড়কের মাঝখানে একটা উড়ন্ত বস্তু৷ এটা হল আলিয়ানৎস আরেনা৷ ২০০৫ সাল থেকে জার্মানির সবচেয়ে বড় ফুটবল দলের হোম গ্রাউন্ড এটি৷ বায়ার্ন যখন খেলে তখন স্টেডিয়ামের বাইরের রং হয় লাল৷ আর জাতীয় দলের খেলা থাকলে বাইরের রঙ হয় সাদা৷ ২০০৬ এর বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত এই স্টেডিয়ামে ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল৷ আর ‘ঘরের মাঠে’ সেই ফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়েছিল চেলসি ৷
ডর্টমুন্ড: সিগনাল ইডুনা পার্ক
জার্মানির সবচেয়ে বড় ফুটবল স্টেডিয়াম এটি৷ এর আসন সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৬০৷ ২০০৬ এর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে এই মাঠেই ইতালির কাছে পরাজিত হয়েছিল জার্মানি৷
লাইপজিগ: রেড বুল আরেনা
এই লাইপজিগ শহরেই ১৯০০ সালে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল৷ ২০০৬ সালের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঐতিহাসিক সেন্ট্রালস্টাডিয়নে নতুন একটি অংশ তৈরি করা হয়৷ ২০১০ সালে এর নাম বদলে রেড বুল আরেনা করা হয়৷
কোলন: রাইনএনারগি স্টাডিয়ন
কোলনের নতুন এই স্টেডিয়ামটি ২০০৬ এর বিশ্বকাপের সময় তৈরি করা হয়েছিল৷ চার কোনার স্তম্ভগুলি রাতের আকাশকে আলোকিত করে৷ একসঙ্গে ৪৬,১৯৫ জন দর্শক এই মাঠে বসে খেলা দেখতে পারে৷ ডিএফবি’র কোচিং অ্যাকাডেমি থেকে খুব একটা দূরে নয় এই মাঠ৷
গেলজেনকিরশেন: ভেল্টিন্স আরেনা
গেলজেনকিরশেনের উত্তরে একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত শালকের এই হোম স্টেডিয়ামটি৷ এখানে আসন সংখ্যা ৫৪,৭৪০৷ খারাপ আবহাওয়ার সময় এর ছাদের ওপরের অংশ ঢেকে যায়, ফলে বৃষ্টিতে খেলা থামে না৷ ২০০৬ এর বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু ছিল এটি৷ এছাড়া কনসার্ট, স্কিইং এবং শুটিং এর জন্যও এই মাঠ ব্যবহার করা হয়৷
হামবুর্গ: ফোক্সপার্ক স্টাডিয়ন
জার্মানির অন্য অনেক স্টেডিয়ামের মতো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই স্টেডিয়ামে স্পন্সরের নাম চোখে পড়তো বেশি৷ কিন্তু বর্তমানে এটি ‘পিপলস পার্ক স্টেডিয়াম হিসেবে’ তার পুরানো রূপে ফিরে গেছে৷
ফ্রাঙ্কফুর্ট: কমারৎসবাঙ্ক আরেনা
আশ্চর্যের কিছু নেই যদি শোনেন যে ফ্রাঙ্কফুর্টের এই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা কমিয়ে ৪৮, ০০০ করা হয়েছে৷ জার্মানির অর্থনীতির রাজধানী খ্যাত ফ্রাঙ্কফুর্ট এমনিতেই সারা দুনিয়ার ব্যবসায়ী আর পর্যটকদের আকর্ষণ করে৷ তার ওপর নদী আর ডিএফবি এর জন্যও বিখ্যাত এটি৷ জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নতুন সদর দপ্তরের নির্মাণ কাজ চলছে স্টেডিয়ামের পাশেই৷
ড্যুসেলডর্ফ: এস্প্রিট আরেনা
এই স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৫১,০০০৷ তবে এই স্টেডিয়ামের একটি বিশেষত্ব রয়েছে৷ কোন সিট খালি থাকলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে সেটা ফাঁকা, এমনভাবেই ছবি আঁকা আছে সিটে৷
স্টুটগার্ট: মার্সেডিজ-বেনৎস -আরেনা
মার্সেডিজ-বেনৎস, পোরশের মতো বড় বড় কোম্পানির কারণে স্টুটগার্ট মোটরগাড়ির রাজধানী বলে খ্যাত৷ এই স্টেডিয়ামও ২০০৬ বিশ্বকাপের ভেন্যু ছিল৷