গুলিতে নিহত মৎস্যজীবি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২গতকাল কেরালার উপকূলে ইটালির এক তেলবাহী ট্যাঙ্কার থেকে ভারতীয় ধীবরদের মাছ ধরা জলযানের ওপর গুলিবর্ষণে দুজন মৎসজীবীর মৃত্যুর ঘটনা নতুনদিল্লি ও রোমের মধ্যে এক কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের রূপ নিতে চলেছে৷ ইটালির রাষ্ট্রদূত জি.এস মন্টিফোর্তেকে পররাষ্ট্র দপ্তরে তলব কোরে ভারতের তীব্র ক্ষোভের কথা জানিয়ে, এই ঘটনার তদন্তে ইটালির সহযোগিতা চাওয়া হয়৷
ইটালির রাষ্ট্রদূত এই ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ ক'রে বলেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় আমরা কাজ করছি৷ ইটালির জাহাজটি নিজে থেকেই কোচি বন্দরে যায় যাতে জাহাজের ক্যাপ্টেন ও নাবিকরা তাঁদের বক্তব্য জানাতে পারে৷ তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা ঐ মাছ ধরার বোটখানাকে জলদস্যুদের বলে ভুল করেছিল৷
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একথা মানতে নারাজ৷ ঐ নৌকার জীবিত অন্য ৯জন নাবিক বলেন, পূর্ব-সতর্কতা ছাড়াই তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়৷ জাহাজটি তখন ভারতীয় সমুদ্রসীমাতেই ছিল৷ উপকূল রক্ষী বাহিনীই জাহাজটিকে আটক ক'রে কোচি বন্দরে নিয়ে আসে৷ জাহাজের কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ হত্যার মামলা দায়ের করা হবে৷
অন্যদিকে, ইটালির অভিযোগ, ঐ জলযানের কথিত জলদস্যুরা প্রথমে গুলি ছুঁড়ে জাহাজে ওঠার চেষ্টা করলে তাঁদের প্রতিহত করতে তিনবার শূন্যে গুলি ছোঁড়া হয়৷ তবু তারা ক্ষান্ত না হওয়ায় জাহাজের বন্দুকধারীরা গুলি করে৷এই অভিযোগ নস্যাৎ ক'রে ভারতীয় নৌবাহিনীর ভাইস-অ্যাডমিরাল বলেন, পরীক্ষা কোরে দেখা গেছে জাহাজের গায়ে কোনো বুলেটের চিহ্ন নেই৷ দ্বিতীয়ত, মৎসজীবীরা ছিল নিরস্ত্র৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি বলেন, ব্যাপারটা খুবই গুরুতর৷ এই মুহূর্তে বেশি কিছু বলা সঙ্গত হবেনা৷ দেশের আইন নিজের পথেই চলবে৷
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে সম্প্রতি সোমালি জলদস্যুদের দৌরাত্ম যেভাবে বাড়ছিল তার মোকাবিলা করতে বাণিজ্যিক জাহাজে ইদানিং মোতায়েন করা হচ্ছে সশস্ত্র রক্ষী৷ বলাবাহল্য, সেটা আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনেই , যেটা এক্ষেত্রে মানা হয়নি এমনটাই দাবি ভারতের৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক