ইন্টারনেটের ভবিষ্যত নিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি
৩ ডিসেম্বর ২০১২ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকিশন্স ইউনিয়ন সম্মেলনের আয়োজক৷ ইন্টারনেটের ভবিষ্যত নির্ধারণে আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মত প্রকাশ করতে পারবে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা৷ এদের মধ্যে কেউ কেউ ইন্টারনেটের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে৷ তাদের জন্য এক বিশেষ সুযোগ এনে দিয়েছে জাতিসংঘের এই বিশেষ সম্মেলন৷ কেননা, ১৯৮৮ সালে প্রণীত টেলিযোগাযোগ নীতিমালা হালনাগাদ করা হবে এই সম্মেলনে৷ চীন কিংবা রাশিয়ার মতো দেশগুলো ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের এক সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে এটিকে৷
ডিসেম্বরের ৩ তারিখ শুরু হওয়া দুবাই সম্মেলন চলবে ১৪ই ডিসেম্বর পর্যন্ত৷ আশার কথা, বিশ্বের অনেক দেশ কিংবা আরো সহজ করে বললে, গোটা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশই এই নেটওয়ার্ককে রাখতে চায় মুক্ত এবং স্বাধীন, যেখানে স্বাধীনভাবে যে কোনো ব্যক্তি তাঁর মত প্রকাশের সুযোগ পাবে৷ এই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আছে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান৷ দুবাইয়ে তাই শুরু হয়েছে যুদ্ধের প্রস্তুতি৷ এই যুদ্ধ ইন্টারনেটকে মুক্ত এবং স্বাধীন রাখার যুদ্ধ, যেন কোনো দেশ সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট অধিকার হরণ করতে না পারে৷
ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি বড় প্রতিনিধি দল দুবাইয়ে হাজির হয়েছে৷ তাদের উদ্দেশ্যে ইন্টারনেট যেমন আছে, তেমন রাখা৷ আর এজন্য প্রচার, প্রচারণা, লড়াই সবই চালাতে প্রস্তুত এই দল৷ ১২৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন গুগল এবং মাইক্রোসফটের প্রতিনিধিরাও৷ গুগল ইতিমধ্যে জানিয়েছে, ‘বর্তমান নীতিমালার পরিবর্তনের ফলে সেন্সরশিপ বেড়ে যেতে পারে এবং উদ্ভাবনের পথ রুদ্ধ হতে পারে৷'
রাশিয়া, চীন এবং আফ্রিকার কিছু দেশের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট বিষয়ক এই লড়াইয়ে জোটবদ্ধভাবে যোগ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও৷ ইন্টারনেটের ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ, নতুন কর কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সহজে সনাক্তের কোনো নীতি দুবাই সম্মেলনে অনুমোদন হতে দিতে রাজি নয় ইইউভুক্ত দেশগুলো৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে লড়াইয়ে হাজির তারা৷ বলা বাহুল্য, এই লড়াইয়ে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই৷ বরং বুদ্ধিমত্তার সার্থক প্রয়োগের মাধ্যমেই এক্ষেত্রে বিজয় সম্ভব৷
এআই/ডিজি (এপি, রয়টার্স)