1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে আবারো আত্মঘাতী হামলা, নিহত ১৪

১৩ ডিসেম্বর ২০১০

ইরাকে আবারো সহিংসতার খবর৷ আত্মঘাতী হানায় সেখানে রবিবার প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৪ জন, আহত প্রায় অর্ধশত৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ অবশ্য নিহতের সংখ্যা ১৫ বলে উল্লেখ করেছে৷

https://p.dw.com/p/QWdc
ইরাকে আত্মঘাতী হানায় রক্তাক্ত রাজপথ (ফাইল ফটো)ছবি: AP

রামাদায় গাড়ি বোমা

ইরাকের পশ্চিমের প্রদেশ আনবারে একটি নিরাপত্তা চৌকিতে আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা চালানো হয়৷ এসময় নিহত কমপক্ষে ১১ জন, যাদের মধ্যে ছয় জনই পুলিশ৷ আহতের সংখ্যা ৪১৷ আনবার প্রদেশের রাজধানী রামাদায় ব্যস্ত সময়ে এই হামলা চালানো হয়৷ এতে আহত পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ আল দুলাইমি জানান, হামলার সময় সরকারি কার্যালয়ের প্রবেশ পথে অনেক মানুষ অপেক্ষা করছিলেন৷ আত্মঘাতী হামলাকারী নিরাপত্তা চৌকির কাছে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়৷ সেসময়কার অবস্থা বর্ননা করতে গিয়ে আহমেদ বলেন, আমি মানুষের দেহ বাতাসে ভাসতে দেখেছি, আতঙ্কে তখন সবাই চিৎকার করছিল৷

জড়িত আল-কায়দা

আনবার প্রদেশের উপ-প্রশাসক হেকমাত জায়দান বলেছেন, কোন সন্দেহ নেই যে আল-কায়দা এই ভয়ঙ্কর অপরাধের পেছনে জড়িত৷ নিরীহ মানুষকে লক্ষ্য করে এসব হামলা হচ্ছে৷ এখানে বলে রাখা ভালো, আনবার প্রদেশ এক সময় সুন্নি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত ছিল৷ গত ফেব্রুয়ারিতেও সেখানে আত্মঘাতী হানায় প্রাণ হারায় ১০ জন, নিহতদের মধ্যে চার পুলিশ ও এক মেয়ে ছিল৷

শিয়া তীর্থযাত্রীদের ওপর হানা

ইরাকের বাকুদা শহরে শিয়া তীর্থযাত্রীদের লক্ষ্য করে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন৷ শিয়া তীর্থযাত্রীরা এসময় আশুরায় অংশ নিতে কারাবালার দিকে যাচ্ছিলেন৷ এদিকে, বোমা হামলার পর ঘটনাস্থলে জরুরী সেবার লোকজন পৌঁছাতে শুরু করলে আরেকটি রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটে৷ এতে কেউ মারা না গেলেও চার পুলিশসহ আহত হন সাতজন৷

উল্লেখ্য, ইরাকে দীর্ঘ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পর যখন প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকি সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন, ঠিক তখনই আবারো বোমা হামলার পরিমাণ বাড়লো ইরাকে৷ সেদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক বিশ্ব৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম