ইরানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০৬ জনের মৃত্যু
২০ নভেম্বর ২০১৯প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণায় গত পাঁচদিন ধরে ইরানের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে৷ এ সময় অন্তত ১০৬ জনকে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী৷ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ সংস্থাটি বলছে, প্রাণহানির প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে, যা এমনকি ২০০ জনও ছাড়াতে পারে৷
‘বিশ্বাসযোগ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনের’ প্রেক্ষিতে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ২১টি শহরে আইনবহির্ভূত প্রক্রিয়ায় এইসব মানুষকে মেরে ফেলেছে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী৷ বিক্ষোভকারীদের দমনে সরাসরি গুলি চালানো, স্নাইপার, এমনকি হেলিকপ্টার ব্যবহার করেও গুলি ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি৷
মৃতের সংখ্যা নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি ইরানের সরকার৷ কায়হান নামের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক হাজার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ তার মধ্যে নেতৃস্থানীয় কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে৷
সরকারের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পরপর গত শুক্রবার থেকে ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ যানবাহনের চালকরা গাড়ি বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করে৷ এক পর্যায়ে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে৷ প্রায় ১০০ টি শহরে ব্যাংক, সরকারি ভবন, দোকান, ইসলামিক রিপাবলিকটির প্রতীক ভাংচুর করা হয়৷ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে আক্রমণকারীদের হামলায় রেভোলুশনারি গার্ডের অন্তত তিন সদস্য এবং দুই পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে৷
এই বিক্ষোভের জন্য বিদেশি শক্তির মদত রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি৷
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, এক মাসে ৬০ লিটার পর্যন্ত জ্বালানি তেল কিনতে আগের চেয়ে ৫০ ভাগ বেশি দাম দিতে হবে৷ এর বেশি কিনতে হলে ২০০ ভাগ বেশি দাম পড়বে৷ এই অতিরিক্ত অর্থ গরিবদের জন্য খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রধানমন্ত্রী হাসান রুহানি৷
এফএস/এসিবি (এপি, রয়টার্স)