ইরান সম্পর্কে নেতানিয়াহুর সাবধানবাণী নিয়ে বিতর্ক
৩ মার্চ ২০১৫মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিশেষ সম্পর্ক দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে – এমনটাই প্রচলিত ধারণা৷ কিন্তু অ্যামেরিকার রিপাবলিকান দলের আমন্ত্রণে ইসরায়েলে নির্বাচনের ঠিক আগে মার্কিন কংগ্রেসে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অনেকের কাছেই দৃষ্টিকটু লাগছে৷ গোটা প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও এ নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন৷ এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নির্দল সদস্য বার্নি সান্ডার্স লিখেছেন, ‘‘মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে স্পিকারের খেলা করা উচিত নয়৷
প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রকাশ্যে ইরানের নীতি সম্পর্কে নেতানিয়াহু-র বিচারবুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন৷ ‘দ্য সল্ট লেক ট্রিবিউন' পত্রিকার কার্টুনিস্ট প্যাট বেগলি তীর্যক মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘‘নেতানিয়াহু জানেন, ইরান এক থেকে তিন বছরের মধ্যে বোমা তৈরি করতে চলেছে, যেমনটা তিনি ১৯৯৩ সালেও জানতেন৷''
ইরান সম্পর্কে নেতানিয়াহু-র মূল্যায়ন নিয়ে একই সুরে মন্তব্য করেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হিউম্যান রাইটস ল রিভিউ' পত্রিকার সম্পাদক বাসাম খোয়াজা৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘১৯৯২ সাল থেকেই নেতানিয়াহু ইরান সম্পর্কে সাবধান করে চলেছেন৷''
ব্রিটিশ আইনজীবী ও লেখক রুপার্ট মায়ার্স এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের ভিতরে নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন ভাষণ সম্পর্কে সংশয়ের চিত্র তুলে ধরেছেন৷ সে দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মতে, নেতানিয়াহুর ভাষণের ফলে ইসরায়েলের বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষতি হবে এবং ইরান আরও সাহসী হয়ে উঠবে৷
ইরানের সঙ্গে সমঝোতাকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু ও ওবামার মনোমালিন্য ফিলিস্তিনিদের কাছে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে মনে করেন লেখক ম্যাক্স ব্লুমেনাল৷ তিনি এক ফিলিস্তিনি সূত্রকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন:
তবে নেতানিয়াহুর ভাষণের পক্ষেও অনেক বার্তা দেখা যাচ্ছে৷ কেরি নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘আপনিও কি নিজের দেশের জন্য এমন এক নেতা চান না, যিনি নেতানিায়াহুর মতো ইসরায়লের জন্য লড়ছেন?''
সরাসরি ওবামার বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন অনেকে৷ ক্যারোলাইন ক্রেগ লিখেছেন, ‘‘ওবামা যদি নেতানিয়াহুর ভাষণ সম্পর্কে নিজস্ব ক্রোধ যদি আইসিস-এর প্রতি দেখাতেন, তাহলে ভালো হতো৷''
সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ