ইসরায়েলের হয়ে ‘গুপ্তচরবৃত্তি’: ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ইরানের কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে শনিবার ইরানের গুণমাধ্যম জানিয়েছে৷ তিনি ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন বলে দাবি করা হয়েছে৷
ইরানের বিচার বিভাগের বার্তা সংস্থা ‘মিজান' জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের জাহেদান কারাগারে শনিবার সকালে ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷
মোসাদের কাছে নথি পাঠানো
মিজান জানিয়েছে, ‘‘জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য গোপন তথ্য সংগ্রহ করে মোসাদকে সরবরাহের কারণে ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়৷''
ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর সঙ্গে যুক্ত তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে মোসাদসহ নানা বিদেশি সংস্থার কাছে গোপনীয় নথি পাঠানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷
২০২২ সালের এপ্রিলে, ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মোসাদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে৷ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি তাদের মধ্যে একজন কিনা তা স্পষ্ট নয়৷
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্য চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার মধ্যে এমন পদক্ষেপ নিল ইরান৷ ২০০১ সালে ইইউ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে৷ ইউরোপে দলটির সম্পদ ও কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। জার্মানিসহ ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে হামাস সন্ত্রাসবাদীসংগঠন হিসেবে বিবেচিত৷ কিন্তু ইরান হামাসকে সমর্থন করে৷
ইরান ও ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একে অপরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে।
ইরানের পরমাণু হুমকি নিয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল
২০১৫ সালে বিশ্ব বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তির কঠোর বিরোধিতা করে ইসরায়েল। এই চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে রাশ টানা হয় এবং দেশটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে তেহরানকে আন্তর্জাতিক যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়৷
কিন্তু ইসরায়েলের যুক্তি, এই চুক্তিতেইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো স্থায়ী ছিল না৷ সেই সঙ্গে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বা সামরিক কার্যকলাপের সমাধান করতেও ব্যর্থ হয়েছে চুক্তিটি৷
এর আগে পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ইরানের বিজ্ঞানীদের হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল তেহরান৷ ইসরায়েলের একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হয়, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কখনো এটি স্বীকার করেনি।
আরকেসি/এফএস (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)