ইসরায়েল ও সৌদি আরবের বন্ধুত্ব?
২৯ নভেম্বর ২০১৭এ মাসেই এক সাক্ষাৎকারে রীতিমতো সাড়া জাগিয়েছেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান গাদি আইসেনকট৷ সৌদি আরবের ‘এলাফ' সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কোন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন৷ তিনি জানান, সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় ইসরায়েল৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রয়োজন মতো (সৌদি আরবের সঙ্গে) তথ্য আদান-প্রদানে প্রস্তুত৷ আমাদের তো কিছু স্বার্থের মিল রয়েছে৷'' ইসরায়েলের সেনা কর্মকর্তা জানান, তাঁর দেশের সবচেয়ে বড় শত্রু ইরান৷ অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের বৈরিতার ইতিহাসও সুদীর্ঘ৷ সাম্প্রতিক সময়ে এই দু দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, দু দেশের ‘কমন' শত্রু ইরান আর তাই নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে সৌদি আরব এবং ইসরায়েল৷
সম্প্রতি ইসরায়েলের ‘জাতির পিতা' ডেভিড বেন-গুরিয়নের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ভাষণ দিতে গিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়ানহু-ও ‘আরব বিশ্বের সঙ্গে' ফলদায়ক সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপনের ওপর জোর দিয়েছেন৷ ‘আরব বিশ্ব' বলতে তিনি যে সৌদি আরব ও সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন দেশগুলোকেই বুঝিয়েছেন সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই৷
ডয়চে ভেলের আরবি বিভাগ সৌদি আরবের সাবেক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আনোয়ার আশকির সাক্ষাৎকার নিয়েছে৷ সাক্ষাৎকারে আশকি জানান, গত বছর তিনি আরব দেশগুলোর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি অবশ্য সেই সফরের বিষয়ে কিছু বলেননি৷ তবে ইসরায়েলের সঙ্গে তাঁর দেশের সম্পর্ক ভালো করার পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে তিনিও দুই দেশের কিছু স্বার্থের মিলের কথা তুলে ধরেছেন৷ সেখানে সবার আগে এসেছে ইরান প্রসঙ্গ৷ সৌদি আরবের বন্ধু হিসেবে ইরানের চেয়ে ইসরায়েলকেই বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেন তিনি৷ তার কারণ জানাতে গিয়ে সাবেক সামরিক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আমাদের ওপর কিন্তু ইসরায়েল কখনো রকেট হামলা চালায়নি, চালিয়েছে ইরান৷''
কারস্টেন ক্নিপ/এসিবি