ইসরায়েল-মরক্কো সরাসরি বিমান চালু
২৬ জুলাই ২০২১মরক্কোর রাজধানী মারাকেশ ও ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের মধ্যে সরাসরি বিমান চালু করলো দুটি ইসরায়েলি বিমান সংস্থা৷ গত বছর থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের যে ধারার সূত্রপাত হয়, এই পদক্ষেপ তারই সম্প্রসারণ৷
গত বছর ডিসেম্বর মাসে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু করার ক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইসরায়েল ও মরক্কো৷ এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
বিমান চলাচলের বিষয়ে ইসরায়েলি পর্যটন মন্ত্রী ইওয়েল রাসভোজভ বলেন, ‘‘এই রুটে বিমান চলাচল দুই দেশের মধ্যে পর্যটন, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সাহায্য করবে৷’’
ইসরায়েলের কূটনীতিক গালিত পেলেগ এ বিষয়ে একটি টুইট করেন৷ এক সময়ে মরক্কো কাজ করা গালিত মনে করেন, এই পদক্ষেপ শান্তির বার্তা আনবে দুই দেশের জন্য৷
রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে তেল আবিব থেকে মারাকেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ইসরাএয়ার সংস্থার একটি বিমান৷ বিমানকর্মীদের পরনে ছিল মরোক্কান পোশাক ও বিমানে যাত্রীদের জন্য মরোক্কান খাবারের ব্যবস্থাও ছিল৷
আরেকটি বিমান সংস্থা এল আলের একটি বিমান একই দিনে সকাল ১১টা বেজে ৩৫ মিনিটে মরক্কোর উদ্দেশ্যে উড়ে যায়৷ প্রতি সপ্তাহে, এল আলের পাঁচটি ও ইসরাএয়ারের দুটি বিমান উড়বে এই পথে৷
এছাড়া আরকিয়া ও রয়াল এয়ার মারোক বিমান সংস্থাও জানিয়েছে যে, আগামী মাস থেকে এই পথে বিমান যোগাযোগ চালু করবে তারা৷
উন্নত সম্পর্ক, উন্নত পর্যটন
মরক্কোতে এক সময় উত্তর আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি ইহুদি বাস করতেন৷ কিন্তু ১৯৪৮ থেকে ১৯৬৪ সালের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় আড়াই লাখ ইহুদি চলে যান ইসরায়েলে৷ বর্তমানে, মরক্কোতে আনুমানিক তিন হাজার ইহুদির বাস, যদিও ইসরায়েলের বহু ইহুদি বাসিন্দারা নিজেদের মরোক্কান ইহুদি পরিচয় দিয়ে থাকেন৷
মরক্কো কর্তৃপক্ষের মতে, ২০০০ সালে রাবাতের ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের পর থেকেই ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কে জটিলতা বাড়ে, যা গত বছর থেকে নতুন করে উন্নতির দিকে৷
এ বছর মার্চ মাসে মরক্কোর পর্যটন মন্ত্রী নাদিয়া ফেত্তাহ আলাওউই জানান যে, উন্নত সম্পর্কের জেরে মোট দুই লাখ ইসরায়েলি পর্যটক মরক্কোতে আসবেন বলে তার ধারণা৷ করোনা অতিমারির ফলে মরক্কোর থমকে যাওয়া পর্যটনে বদল আনতে পারে এই নতুন বিমান চলাচল, আশা করছেন অনেকে৷
এসএস/এসিবি (রয়টার্স)