1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জোরালো সংগ্রাম

৫ মার্চ ২০১৫

ইরানের সহায়তায় ইরাকি সেনাবাহিনী টিকরিট শহর জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর হাত থেকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ অন্যদিকে সামগ্রিকভাবে আইএস দমন অভিযানে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1ElIG
Bildergalerie Irak Regionalkonflikt irakische Soldaten 24.06.2014
ছবি: Reuters

আইএস জঙ্গিদের কবল থেকে টিকরিট শহর মুক্ত করতে ইরাকের সেনাবাহিনীর অভিযান যত জোরদার হচ্ছে, শহরের বেসামরিক মানুষদের নিয়ে দুশ্চিন্তা তত বাড়ছে৷ চারদিক থেকে শহরটি অবরোধ করার ফলে রসদের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ ইরান এই প্রথম এত খোলাখুলিভাবে এই অভিযানে অংশ নেওয়ায় শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে তাদের সামরিক সহায়তার গুরুত্ব অস্বীকার না করলেও অ্যামেরিকা সহ কিছু মহল সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়িয়ে চলার ডাক দিচ্ছে৷ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি টিকরিট শহরের মূলত সুন্নি বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে আইএস-এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন৷ তাঁর মতে, যুদ্ধে কারও পক্ষে নিরপেক্ষ থাকা সম্ভব নয়৷ আইএস-এর বিষয়ে নীরব থাকা মানে তাদের প্রতি প্রচ্ছন্ন সমর্থন প্রকাশ করা৷ এমন মন্তব্যও সাম্প্রদায়িক উসকানি দিতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন৷

এদিকে ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে সার্বিক রাজনৈতিক রণকৌশলের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ সিরিয়ায় আসাদ-বিরোধী বিদ্রোহীদের জোট ‘হাজম আন্দোলন' ভেঙে যাবার ফলে আসাদ এবং আইএস-এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের সামরিক সাজসরঞ্জাম সরবরাহের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে৷ মার্কিন প্রশাসন আগামী তিন বছরে সিরিয়ার বিদ্রোহী যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করেছে৷ এই উদ্যোগের আওতায় আসাদের বাহিনীর বদলে আইএস-এর মোকাবিলার উপরই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে৷ এদিকে আল কায়েদার সিরিয়া শাখা ‘আল নুসরা ফ্রন্ট'-এর হামলার ফলেই ‘হাজম আন্দোলন' বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে৷তাদের হাতে মার্কিন অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম এসে পড়েছে বলেছে বলে তারা দাবি করছে৷ ‘হাজম আন্দোলন' ভেঙে যাবার পর তাদের অনেক সদস্য আবার ‘জাবাত আল শামিয়া' নামের উগ্র ইসলামপন্থি জোটে যোগ দিয়েছে৷ এমন সব ঘটনার ফলে অ্যামেরিকার পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যাচ্ছে৷

লিবিয়ায় আইএস-এর তৎপরতা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও অসহায় হয়ে পড়ছে সে দেশের সরকার৷ তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আবেদন জানিয়েছে৷ আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিবিয়ার সেনাবাহিনীর কিছু বিশেষ অস্ত্র ও সরঞ্জামের প্রয়োজন পড়েছে৷ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমতি ছাড়া সে সব জোগাড় করা সম্ভব হবে না৷ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়াকে অস্ত্র বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার বিরোধিতা করছে বটে, কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মেনে নিলে তাদের আপত্তি নেই৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য