1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ঘরে বসে কাজ করতে’ বারণ

১ মার্চ ২০১৩

ইয়াহুর প্রধান নির্বাহী মারিসা মায়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁর কর্মীরা ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন না৷ কাজ করতে হবে অফিসে বসে৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চলছে গোটা মার্কিন মুল্লুকে৷ চলুন জানা যাক, সিলিকন ভ্যালির প্রতিক্রিয়া৷

https://p.dw.com/p/17oip
epa03308388 An undated handout photograph released by Google on 16 July 2012 shows Marissa Ann Mayer, an executive at Google in Mountain View, California, USA. Media reports on 16 July 2012 state that Marissa Mayer, will be the next Chief Executive Officer (CEO) of Yahoo. EPA/HANDOUT FOR EDITORIAL USE ONLY / NO SALES
ছবি: picture-alliance/dpa

ঘরে বসে অফিসের কাজ করা৷ বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এটা অনেকটাই স্বাভাবিক৷ অনেক প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের এভাবে কাজ করার সুযোগ দেয়৷ অনেক সময় বিশেষ প্রেক্ষাপটেও ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ পান কর্মীরা৷

ঘরে বসে কাজ করা বেশ সহজও৷ প্রয়োজন শুধু একটি কম্পিউটার আর সঙ্গে উচ্চ ক্ষমতার ইন্টারনেট সংযোগ৷ এরপর প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে কাজ করাটা মোটেই কঠিন কিছু নয়৷ বরং অনেক কর্মী মনে করেন, ঘরে বসে তারা আরো বেশি কাজ করতে পারেন৷

ARCHIV: Das Yahoo-Logo vor dem Sitz des Unternehmens in Santa Clara (USA) (Foto vom 20.05.12). Yahoo-Chefin Mayer hat ihrem frueheren Arbeitgeber Google einen seiner Topmanager abgeworben. Werbestratege Henrique de Castro soll Google verlassen, um Anfang kommenden Jahres sein Knowhow als Leiter des operativen Geschaefts bei Yahoo einzubringen. Das teilte Yahoo mit Hauptsitz im kalifornischen Sunnyvale am Dienstag (16.10.12) ueberraschend mit. Der 47-jaehrige de Castro hatte 2006 den Computerhersteller Dell verlassen und beim Suchmaschinenanbieter Google angeheuert, wo er unter anderem die Expansion von Google-Werbung auf mobile Geraete wie etwa Smartphones leitete. Der Topmanager erhaelt von Yahoo ein Verguetungspaket im Wert von rund 58 Millionen Dollar (rund 45 Millionen Euro). Sein Jahresgehalt liegt bei 600.000 Dollar (etwa 460.000 Euro). (zu dapd-Text) Foto: Paul Sakuma/AP/dapd
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইয়াহু ‘ঘরে বসে কাজ করার' সুবিধা আছে বা গ্রহণ করছেন এরকম সকল কর্মীকে অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করেছবি: dapd

যুক্তরাষ্ট্রের সিলিক্যান ভ্যালিতেও ঘরে বসে কাজ করার চল রয়েছে৷ তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি মূল কর্মঘণ্টার বাইরে হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ অর্থাৎ সপ্তাহে চল্লিশ ঘণ্টা অফিসে বসে কাজ করার পর কর্মীরা চাইলে ঘরে বসেও অফিসের কাজ করতে পারেন৷

গুমরোড নামক একটি নতুন তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সাহিল লাভিনিয়া এই বিষয়ে বলেন, ‘‘একটি রুমে শারীরিকভাবে উপস্থিত দু'জনের বেশি কর্মীর মধ্যকার আলোচনার মাধ্যমে আমরা সব নতুন আইডিয়া পেয়েছি৷ এটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে পাওয়া সম্ভব নয়৷''

ভেবে বসবেন না, লাভিনিয়া ঘরে বসে কাজ করার বিরোধী৷ বরং তাঁর কথা হচ্ছে, ঘরেও একটি কাজের সেটআপ থাকতে হবে৷ কেননা অনেকে অফিসে আসার আগে বা বাড়ি ফেরার পর এবং সপ্তাহান্তেও অফিসের কাজ করতে চান৷ তাঁদের জন্য এই সেটআপ দরকার৷

কর্মীদেরকে অফিসে বসে দীর্ঘ সময় কাজ করতে উৎসাহ দিতেন প্রয়াত স্টিভ জবসও৷ ২০১০ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমি গভীর রাতে পার্কিং এলাকায় কর্মীদের গাড়ি দেখেছি, কিছু ইঞ্জিনিয়ারের অফিসে শোবার ব্যবস্থা দেখেছি৷'' টুইটারও কর্মীদেরকে অফিসে বসে কাজ করতে উৎসাহ প্রদান করে৷ এজন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত ‘টি-টাইম' বৈঠকের আয়োজন করে৷

উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইয়াহু ‘ঘরে বসে কাজ করার' সুবিধা আছে বা গ্রহণ করছেন এরকম সকল কর্মীকে অফিসে এসে কাজ করার নির্দেশ প্রদান করে৷ এই নির্দেশনা জুন মাস থেকে পুরোপুরি কার্যকর হবে৷

এআই / এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য