উজবেকিস্তানে সোনার খনিতে কাজের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ
১১ ডিসেম্বর ২০২৪বছর পাঁচেক আগে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের খননকাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল৷ তবে সেগুলোর কাজের পরিবেশ নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে৷
বেসরকারি খনিগুলো গোপনভাবে চলে৷ কী পরিমাণ সোনা তোলা হচ্ছে, কত লাভ হচ্ছে, তা নিয়ে কেউ কথা বলে না৷
উত্তোলিত সোনা রাষ্ট্রীয় কোম্পানি কিংবা অলংকার ব্যবসায়ীদের কাছে বাজারদরে বিক্রি করা হয়৷
রাষ্ট্রীয়ভাবে যত সোনা উত্তোলন করা হয়, বেসরকারিভাবে তত করা হয় না৷
বিশ্বের অন্যতম বড় সোনার সংগ্রহ রয়েছে উজবেকিস্তানের মুরুনতাও-এ৷ ২০২২ সালে সেখানে ৫০ টনের বেশি সোনা পাওয়া গিয়েছিল৷
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মুরুনতাও খনিতে সাড়ে চার হাজার টনের বেশি সোনা আছে৷ বছরে ১০০ টনের বেশি সোনা উৎপাদন করে উজবেকিস্তান৷ ফলে বিশ্বের শীর্ষ ১০ সোনা উত্তোলনকারী দেশের মধ্যে এটি একটি৷ ২০২৩ সালে আট বিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা রপ্তানি করেছিল উজবেকিস্তান৷
তবে উজবেকিস্তানের সোনা শিল্পের একটি কালো অধ্যায় আছে- অবৈধ খনন৷ এসব খনির অবস্থান সম্পর্কে জানানো হয় না৷
অলংকার ব্যবসায়ী ম্যাগোমেদ ইব্রায়েভ বলেন, ‘‘মানুষ মারা যায় কারণ খনির অবস্থান গোপন রাখার জন্য তারা অনেক গভীরে টানেল খোঁড়ে৷ খনন করার যন্ত্রের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তাই তারা ভূগর্ভস্থ জেনারেটর ব্যবহার করেন৷ এগুলো পেট্রোলে চলে, আর তাদের ধোঁয়ায় আশপাশের পরিবেশ ছেয়ে যায়৷ তখন দম বন্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়৷ অবৈধ খনি থেকে লাভ হলেও অনেক মানুষ মারা যান, এবং তার জন্য কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না৷''
আলেকজান্ডার প্রোকোপেঙ্কো/জেডএইচ