উদার গণতন্ত্রের দিন শেষ: ওর্বান
১১ মে ২০১৮চতুর্থবারের মতো বিপুল ভোটে জয়ী হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী নেতা ওর্বান ‘উদারপন্থি গণতন্ত্র'-এর দিন শেষ বলে মন্তব্য করেন৷ বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভঙ্গুর উদারপন্থি গণতন্ত্রের বদলে ২১ শতকের উপযোগী খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্র এনেছি, যা আরও মানুষের বেশি মুক্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে৷''
রাজধানী বুদাপোস্টে শপথ গ্রহণের সময় জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত নেতা ওর্বান বলেন, ‘‘খিষ্ট্রীয় গণতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী পারিবারতন্ত্রের কথা বলে, যেখানে একজন নারী ও একজন পুরুষ থাকবে৷ এতে সেমিটিক মূল্যবোধের বাইরের সবকিছু থাকবে দূর সৈকতে এবং এটি প্রবৃদ্ধির জন্য সুযোগ দেবে৷''
ডানপন্থি নেতা অর্বান ২০১০ সাল থেকে হাঙ্গেরিতে টানা ক্ষমতায় আছেন৷ এর আগেও তিনি ১৯৯৮ সালে ২০০২ সাল পর্যন্ত দেশটির সরকার প্রধান ছিলেন৷
যখন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে তার বিস্তার ঘটানো শুরু করেছে, তখন থেকে ইইউ-র কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছেন ওর্বান৷ ইইউ-র মানদণ্ড অনুযায়ী, ওর্বান একদলীয় শাসনব্যবস্থার পথপ্রদর্শক৷ আর বৈশ্বিক বিবেচনায় তাঁকে পুটিন, ট্রাম্প আর এর্দোয়ানের মতো ‘স্বৈরশাসক' বলেন কেউ কেউ৷
গতমাসে ওর্বানের নেতৃত্বাধীন ডানপন্থি জোট হাঙ্গেরিরসংসদের ১৯৯টির মধ্যে ১৩৩টি আসন পায়৷ দুই-তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী হওয়ায় তার ফিদেস পার্টি এখন দেশটির সংবিধান বিনা চ্যালেঞ্জেই পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে৷
যদিও বক্তৃতায় দেশের সবার জন্যই কাজ করার কথা জানিয়ে ওর্বান বলেন, ‘‘আমাদের ইইউকে প্রয়োজন এবং ইইউ-এর আমাদের৷''
পাশাপাশি তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজ অঞ্চলের মধ্যে অ্যামেরিকা হওয়ার ‘দুঃস্বপ্ন' দেখা বন্ধ করা উচিত৷
অভিবাসনের মতো ইস্যুগুলো হাঙ্গেরি আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মতপাথর্ক্য তৈরি করেছে৷ বিশেষ করে সদস্যভুক্ত দেশগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট কোটায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের নেওয়ার ব্যাপারে বাধ্যতামূলক করেছে ইইউ৷ ওর্বান সেটা মানতে নারাজ৷
তবে ওর্বানকে ভোটের আগে এবং ভোটের দিন নিজ অবস্থানের কারণে বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয়েছে৷ বিক্ষোভকারীরা ওর্বান এবং তাঁর দল ফিদেসকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কবজা করে নির্বাচনের তহবিল সংগ্রহ এবং নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে৷
এইচআই/ডিজি
পাঠক, এই প্রতিবেদন আপনাদের কেমন লাগল? জানান নীচের ঘরে৷