এইচআইভি প্রতিরোধের লক্ষ্য এখনও অনেক দূরে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১০জাতিসংঘের লক্ষ্য
লক্ষ্যমাত্রাটি ছিল ২০১০ সালের মধ্যে এইচআইভিতে আক্রান্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ যাতে অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ সেবন করার সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা করা৷ এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা জানতে সর্বশেষ ২০০৮ সালে এক জরিপ চালিয়েছিল জাতিসংঘ৷ এতে দেখা যায় সারা বিশ্বে মোট তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত৷ এসব আক্রান্তরা যাতে মারণব্যধি এইডস এর কবলে না পড়ে সেজন্য বিশ্বের অনেক দেশে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ৷ এজন্য বেশ কয়েক বছর আগে থেকে তারা একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল৷
লক্ষ্যমাত্রার অবস্থা
দেখা যাচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ এই অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ সেবনের সুযোগ পেলেও এই সংখ্যা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক কম৷ যেমন গত বছর মধ্য আয়ের দেশগুলোর ৫২ লাখ মানুষ এই চিকিৎসা সেবার আওতায় এসেছে৷ এই সংখ্যা তার আগের বছরের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ বেশি৷ কিন্তু এটিও যথেষ্ট নয়৷ কারণ এখনও বিশ্বের এইচআইভি আক্রান্তদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ এই অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ পেয়ে থাকছে৷ এছাড়া মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে যেসব মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের শতকরা ৬০ ভাগই জানে না যে তাদের শরীরে এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে৷
অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধটি কি?
এটি আসলে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি৷ এই ড্রাগ বা ওষুধের মাধ্যমে শরীরে থাকা এইচআইভি ভাইরাসের বিস্তারকে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়৷ আর এইচআইভির কারণেই একজন মানুষের এইডস হয়৷ কিন্তু এই ওষুধ অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় জাতিসংঘের উদ্যোগে তুলনামুলক স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে তা বিতরণ করা হয়৷
লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ হওয়ার কারণ
কারণটি মূলত অর্থনৈতিক৷ গোটা বিশ্বে এখন যে আর্থিক মন্দা চলছে তার কারণে জাতিসংঘ তাদের এইডস বিরোধী চিকিৎসা সেবা কর্মসূচিতে তেমন সাড়া পাচ্ছে না৷ গত ১৫ বছর ধরে এইডস প্রতিরোধে দেশগুলো যেভাবে অর্থায়ন করেছে চলতি বছরে তা দেখা যায়নি৷ গত বছর দাতাদেশগুলো ৮৭০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল৷ তবে এবার তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়