এইমস-এ সার্ভার হ্যাক, চার কোটি রোগীর তথ্য পাচার
৩০ নভেম্বর ২০২২ভারতের সবচেয়ে খ্যাতনামা ও এক নম্বর সরকারি হাসপাতাল বলে পরিচিত এইমসে হ্যাকারদের তাণ্ডব। গত ২৩ নভেম্বর দেখা যায়, এইমসের সার্ভার হ্যাক করা হয়েছে। তারপরই তা বন্ধ করে দেয়া হয়। বুধবার এইমসের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ই-হসপিটাল ডেটা রেস্টোর করা হয়েছে। নেটওয়ার্ককে পুরো ঠিক করা হয়েছে। বিভিন্ন পরিষেবা সংক্রান্ত যে বিপুল তথ্য ছিল, তা পরীক্ষা করে ঠিক করতে এতদিন সময় লেগে গেছে।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, হ্যাকাররা তিন থেকে চার কোটি রোগীর তথ্য নিয়ে নিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এইমসে শুধু সাধারণ মানুষ চিকিৎসা করান না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে যাবতীয় ভিভিআইপিদের চিকিৎসাও এখানে হয়। সরকারি কর্মকর্তারা এখানেই চিকিৎসা করাতে পছন্দ করেন। দিল্লির এইমসে শুধু যে দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসকেরা আছেন তা-ই নয়, এখানে সর্বাধুনিক পরিকাঠামোও আছে।
হ্যাকারদের হানার পর এইমসের বিভিন্ন পরিষেবা বিপুলভাবে ব্যহত হয়। শনিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ডায়গনস্টিক, ল্যাব এবং ওপিডি বিভাগ চালু রাখতে বাড়তি কর্মী নিয়োগ করা হয়। কম্পিউটারের বদলে হাতে লিখে সবকিছু করা হয়। ফলে পরিষেবা দিতে প্রচুর সময় লাগে।
দিল্লির বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছিল, হ্যাকাররা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দুইশ কোটি টাকা দাবি করেছে। তবে দিল্লি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ধরনের কোনো অর্থের দাবি এইমস কর্তৃপক্ষ পাননি। পুলিশের গোচরেও আসেনি। ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম, দিল্লি পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসাররা ঘটনার তদন্ত করছে। সাইবার সন্ত্রাসবাদের মামলাও করা হয়েছে।
এইমস নেটওয়ার্কের ৫০টি সার্ভার, পাঁচ হাজার কম্পিউটার স্ক্যান করা হয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা ধরে এই কাজ চলেছে। তারপর সপ্তম দিনে এইমসের সার্ভার আবার চালু করা হয়েছে।
কংগ্রেসের সমালোচনা
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে বেনুগোপাল বলেছেন, এইমসের ঘটনা পুরো দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দুই বছর আগে নতুন সাইবার সুরক্ষা নীতি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। দুই বছর ধরে দেশ তার জন্য অপেক্ষা করছে। এখনো সেই ঘোষণা হয়নি বলে তার অভিযোগ।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই)