একুশে বইমেলার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
একুশে বইমেলা বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে৷ অধিবর্ষ হওয়ায় এবার মেলা চলবে ২৯ দিন৷ এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য- পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ৷
শুরুর দিনের আয়োজন
বৃহস্পতিবার থেকে একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে৷ বিকাল ৩টায় মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ, স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা আর সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন৷
মেলার প্রতিপাদ্য
এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য- পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ৷ বাংলা একাডেমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে৷
সময়সূচি
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে৷ রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না৷ আর ছুটির দিনে মেলা সকাল ১১টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত৷ ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত৷ অধিবর্ষ হওয়ায় এ বছর মেলা চলবে ২৯দিন৷
৬৩৫টি প্রতিষ্ঠান
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে মেলা অনুষ্ঠিত হবে৷ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ, মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে৷ মেলায় ৩৭টি (একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি) প্যাভিলিয়ন থাকবে৷
আটটি প্রবেশ ও বাহিরপথ
এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতোই৷ সামান্য আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে৷ বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের কারণে মেলার বাহিরপথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে৷ এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন অংশে মোট ৮টি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে৷
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে আর্চওয়ের ব্যবস্থা থাকবে৷ সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা৷ নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
লিটলম্যাগের জায়গা পরিবর্তন
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে৷
শিশু চত্বর
মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে থাকবে শিশু চত্বর৷ সেখানে প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর অনুষ্ঠিত হবে৷ এছাড়া অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকছে৷
রিকশা পেইন্টিং প্রদর্শনী স্টল ও বই পাঠ স্টল
এবারের বইমেলায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত রিকশা চিত্রের প্রদর্শনীর জন্য স্টল থাকবে৷ এছাড়া পাঠকরা যেন মেলায় বসে বই পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থাও থাকবে৷